live updates: মহারাষ্ট্রে ১৬২ বিধায়ককে পাঁচতারা হোটেলে ‘প্যারেড করাচ্ছে' শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি, রাজ্যপালকে দেখে যাওয়ার আবেদন সঞ্জয় রাউতের, হাজির শরদ, উদ্ধব, খাড়্গে

কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা জোটের নাম দিয়েছে মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি। বিজেপি আচমকা বিদ্রোহী এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের সাহায্যে সরকার গড়ার দুদিন বাদেই তিন দল নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের রাস্তায় হাঁটল। শনিবার সকালে ভোরের আলো ফুটতেই খবর ছড়ায়, বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী ও অজিত পওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 25 Nov 2019 08:10 PM
পাঁচতারা হোটেলে বিধায়কদের জমায়েতে কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বান বলেন, ১৬২ নয়, তার চেয়ে বেশি বিধায়ক আছে আমাদের। আমরা সবাই সরকারের শরিক হব। বিজেপিকে রুখতে এই জোটের অনুমতি দেওয়ায় সনিয়া গাঁধীকে ধন্যবাদ। আমাদের সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানানো উচিত রাজ্যপালের। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি বালাসাহেব ঠোরাট বলেন, আমাদের এই বৈঠকের পর নতুন তৈরি সরকারের ইস্তফা দেওয়া উচিত কেননা ওদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। আমাদের সঙ্গে ১৬২ জন এমএলএ আছেন।
ভাইপো অজিতের আচমকা বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার পিছনে নানা মহলের জল্পনা খারিজ করে শরদের দাবি, অজিতের বিজেপির সঙ্গী হয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে তাঁর কোনও হাত নেই। তাঁর দল কংগ্রেস, শিবসেনার সঙ্গে থেকে মহারাষ্ট্রে পরবর্তী সরকার গড়বে বলেও জানিয়ে দেন শরদ।
বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ৩ দলের।
সেখানে ১৬২ বিধায়ক হাজির হয়েছেন বলে দাবি তিন দলের।
হায়াত হোটেলে এলেন শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, মল্লিকার্জুন খাড়্গে।

প্রেক্ষাপট

মুম্বই: মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে নাটক, টানটান উত্তেজনার আবহেই শক্তির পরিচয় দিতে মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে নিজেদের শিবিরের ১৬২ বিধায়ককে জনসমক্ষে প্যারেড করানোর সিদ্ধান্ত শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের। রাজ্যপাল ভগত্ সিংহ কোশিয়ারিকে সেখানে এসে তিন দলের সম্মিলিত শক্তি দেখে যেতে আবেদন করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি ট্যুইট করেছেন, আমরা সবাই এক, একত্রিত রয়েছি। গ্র্যান্ড হায়াতে সন্ধ্যা সাতটায় প্রথমবার আমাদের ১৬২ বিধায়ককে হাজির হতে দেখুন নিজের চোখেই।
সব বিধায়ককে জনসমক্ষে হাজির করানোর উদ্যোগের পিছনে তাঁদের সম্পর্কে জনমানসে চলতি ধারণা বদল করাই উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন জনৈক এনসিপি নেতা। তিনি বলেছেন, একই হলে ১৬২ বিধায়ককে হাজির করালেই গোটা দেশ বুঝতে পারবে যে, গভর্নরের দপ্তরের অপব্যবহার করে বিজেপি মহারাষ্ট্রে নোংরা খেলা খেলছে।





হোটেলে নিয়ে আসার আগে তিন দলের বিধায়কদের শহরের বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শিবসেনা বলেছে, তারা নির্দল সহ ৬৩ বিধায়কের সই জমা দিয়েছে আগেই। কংগ্রেস, এনসিপিও যথাক্রমে নিজেদের ৪৪ ও ৫১ বিধায়কের স্বাক্ষর পেশ করেছে বলে দাবি করেছে।
কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা জোটের নাম দিয়েছে মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি। বিজেপি আচমকা বিদ্রোহী এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের সাহায্যে সরকার গড়ার দুদিন বাদেই তিন দল নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের রাস্তায় হাঁটল। শনিবার সকালে ভোরের আলো ফুটতেই খবর ছড়ায়, বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী ও অজিত পওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন।
যদিও তার আগের রাতেই এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ার শিবসেনা, কংগ্রেস ও তাঁর দলের বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়ে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে ঘোষণাও করেন। কিন্তু রাত পোহাতেই বদলে যায় সেখানকার রাজনৈতিক চালচিত্র। এ নিয়ে তীব্র কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।
বিজেপি একক বৃহত্তম দল হয়েছে সাম্প্রতিক মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে। ১০৫টি আসন তাদের। ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস পেয়েছে যথাক্রমে ৫৬, ৫৪ ৪৪টি আসন। তাদের দাবি মতো মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করতে রাজি না হওয়ায় বিজেপির সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক ভেঙে কংগ্রেস, এনসিপির শিবিরে যোগ দেয় শিবসেনা।


- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.