- Home
-
Lok-sabha-election
-
নির্বাচন
LIVE UPDATES: মহারাষ্ট্রে নতুন জটিলতা, শিবসেনাকে আর সময় দিতে নারাজ রাজ্যপাল, সরকার গঠনে পওয়ারদের ২৪ ঘণ্টা সময়, কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত, জানাল এনসিপি
LIVE UPDATES: মহারাষ্ট্রে নতুন জটিলতা, শিবসেনাকে আর সময় দিতে নারাজ রাজ্যপাল, সরকার গঠনে পওয়ারদের ২৪ ঘণ্টা সময়, কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত, জানাল এনসিপি
এত বছর এক সঙ্গে ঘর করার পর অবশেষে বিজেপির হাত ছাড়তে চলেছে তাদের সর্বপ্রথম জোটসঙ্গী শিবসেনা। এনসিপির শর্ত মেনে ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা ছেড়েছে তারা।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
11 Nov 2019 09:54 PM
বিজেপি ও শিবসেনার পর মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সরকার গঠনের জন্য এনসিপিকে আমন্ত্রণ জানালেন। এ ব্যাপারে শরদ পাওয়ারের দলকে ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এনসিপি নেতা নবাব মালিক বলেছেন, তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং রাজ্যে কীভাবে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করা যেতে পারে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন।
আদিত্য ঠাকরে ও আরও কয়েকজনকে নিয়ে শিবসেনার একটি প্রতিনিধিদল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করে। আজ সন্ধ্যায় সরকার গঠনের দাবি পেশের সময়সীমা শেষ হয়েছে। শিবসেনার তরফে সময়সীমা ৪৮ ঘন্টা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যপাল তা মানেননি বলে খবর। প্রসঙ্গত, ১০৫টি আসন পেয়েও বিজেপি শিবসেনা ‘জনগণের রায়কে অসম্মান করল’ বলে উল্লেখ করে সরকার গঠনে হাল ছেড়ে দেয় গতকালই। বিজেপি রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল কটাক্ষ করেন, কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চাইলে উদ্ধব ঠাকরের দলকে ‘শুভেচ্ছা’ রইল!
শিবসেনা, বিজেপি জোট গড়েই বিধানসভা ভোটে লড়ে। কিন্তু আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদ ও বাকি ক্ষমতার সমান ভাগ চেয়ে শিবসেনার দরকষাকষি, বিজেপির তাতে রাজি না হওয়া-সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে অচলাবস্থা চলছে।
এনসিপিও মুম্বইয়ে আজ বৈঠকে বসে। দলের মুখপাত্র নবাব মালিক সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবেন।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন ঘিরে নাটক অব্যাহত। কংগ্রেস শিবসেনাকে সমর্থনে রাজি, সনিয়া গাঁধী এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সূত্রের এহেন খবর উড়িয়ে পরে কংগ্রেসের তরফে সংক্ষিপ্ত সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, শিবসেনাকে সমর্থনের ব্যাপারে দল শরিক শরদ পওয়ারের দল এনসিপির সঙ্গে আরও আলোচনা করতে চায়। কংগ্রেস সভানেত্রী (সনিয়া গাঁধী) শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এনসিপি-র সঙ্গে দল আরও কথাবার্তা চালাবে। অর্থাত্ শিবসেনাকে সমর্থনের প্রশ্ন ধন্দ বজায় রাখল কংগ্রেস। দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একই কথা জানান। প্রসঙ্গত, শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেস-এনসিপির বোঝাপড়ার ব্যাপারে শরদ পওয়ারই মূল মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডি-এস প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়া বলেছেন, কংগ্রেস শিবসেনাকে সমর্থন করলে আগামী ৫ বছর যেন তাদের বিরক্ত না করে। একমাত্র তাহলেই কংগ্রেসের ওপর মানুষ ভরসা করতে পারবেন।
কংগ্রেসের বৈঠকে অশোক চ্যবন, পৃথ্বীরাজ চ্যবন, বালাসাহেব থোরাট, রাজীব সাতভ, মানিকরাও ঠাকরের মতো মহারাষ্ট্রের দলীয় নেতারাও আছেন।
জল্পনার অবসান অবশেষে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে সরকার গঠনের সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিবসেনাকে চিঠিও দিল কংগ্রেস। এদিকে সরকার গঠনের দাবি পেশ করতে আদিত্য ঠাকরে ও একনাথ শিন্দে-শিবসেনার দুই নেতা রাজভবন গিয়েছেন। সঙ্গে দলের অন্য নেতারাও আছেন। কংগ্রেসের শরিক এনসিপি-ও শিবসেনাকে সমর্থনে তৈরি। তারাও চিঠি দিচ্ছে শিবসেনাকে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী জয়পুরের হোটেলে বন্দি দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে শিবসেনাকে সমর্থনের ব্যাপারে ফোনে কথা বলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ওয়ার্কিং কমিটিও এ নিয়ে কথা বলছে।
মহারাষ্ট্রে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। সূত্রের খবর, একদিকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির মহারাষ্ট্রের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। তার মধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে ফোন করলেন উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনাকে সরকার গঠনের দাবি পেশ করতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময়সীমা দিয়েছেন রাজ্যপাল। শিবসেনা সুপ্রিমো তার আগে সনিয়াকে ফোন করে সরকার গঠনে কংগ্রেসের সমর্থন প্রার্থনা করেছেন। উদ্ধব আজ এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের সঙ্গেও দেখা করেন।
এদিকে অন্যতম শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, দ্রুত রাজ্যে সরকার গঠন সম্পূর্ণ করা চাই যাতে জনসাধারণের চাহিদাগুলি পূরণ করা, জনস্বার্থমূলক কাজকর্ম করা সম্ভব হয়। তিনি আরও বলেন, সরকার গঠনে কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। রাজ্যবাসী বিজেপি-শিবসেনা শাসনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন, কিন্তু বর্তমানে একটা অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপি নেতারাও মুম্বইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ‘বর্ষা’য় হাজির হয়েছেন। দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ দিনকয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। চন্দ্রকান্ত পাতিল, সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার, আশিস শেলারের মতো নেতারা বৈঠকে আছেন। বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি রাজ্যের বর্তমান সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে শিবসেনাকে কটাক্ষ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, শিবসেনার ক্রমবিবর্তন-বালাসাহেবের সেনা থেকে সনিয়ার সেনা !
বিজেপির ১০৫টি আসনের পর দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় দল শিবসেনা। তাদের বিধায়ক সংখ্যা ৫৬। শিবসেনাকে রবিবার সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়ে দাবি পেশ করার জন্য ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল ভগত্ সিংহ কোশিয়ারি। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
ওয়াকিবহাল মহল জানিয়েছে, আদর্শগত মতপার্থক্যের জন্য শিবসেনাকে সমর্থনে দ্বিধা, সংশয় থাকলেও উদ্ধবের সঙ্গে হাত মেলানোর ভাবনা পুরোপুরি খারিজ করে দেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু সরাসরি শিবসেনার পরিচালনাধীন সরকারে থাকবে না বাইরে থেকে সমর্থন করবে, সেটা স্থির করতে পারেনি।
উদ্ধব ঠাকরে হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, আদিত্য ঠাকরে নন। আদিত্যের নামে আপত্তি এনসিপির, খবর সূত্র মারফত।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনার মধ্যে প্রবল তত্পরতার মধ্যেই শারদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন উদ্ধব ঠাকরে। মু্ম্বইয়ের বান্দ্রার পারিবারিক বাসভবন মাতোশ্রী থেকে ৭ কিমি দূরের এক বিলাসবহুল হোটেলে প্রবীণ রাজনীতিকের কাছে যান তিনি। বিজেপি গতকাল সরকার গঠন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার পর বোঝাপড়ার মাধ্যমে শিবসেনা ও কংগ্রেস-এনসিপি সরকার গঠনের জল্পনায় সরগরম মহারাষ্ট্র। শরদের দল এখনও শিবসেনাকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত সরকারি ভাবে জানায়নি। শরদ অপেক্ষা করছেন, প্রাক-নির্বাচনী শরিক কংগ্রেস কী ঠিক করে, জানার জন্য। শিবসেনার নেতৃত্বে তিনদলের জোট সরকার গঠনে সমর্থন দেওয়ার প্রশ্নে বিকালে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত জানাবে কংগ্রেস। নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বৈঠক করেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বিকেল চারটেয় তারা মহারাষ্ট্রের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে বসছে।
কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের পরেই সিদ্ধান্ত, জানাল এনসিপি
শিবসেনাকে সমর্থন করতে পারে কংগ্রেস, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিকেলে বৈঠক।
শিবসেনাকে সমর্থন করতে পারে কংগ্রেস: সূত্র
সরকার গঠনের জন্য এনসিপি চায় কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম। জানাল, যা হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে।
বিজেপির দোষেই ভাঙল জোট, ৫০-৫০ ফর্মুলা ঠিক হয়েছিল, মানেনি বিজেপি, অভিযোগ সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের।
উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা শরদ পওয়ারের: সূত্র
এনসিপির বক্তব্য হল, বিজেপি-সেনা সরকার গড়ুক বা না গড়ুক, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে তারা দেবে না।
প্রেক্ষাপট
মুম্বই: বিজেপি সরে গিয়েছে আগেই। এনডিএ-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মসনদ দখলের জোরদার চেষ্টা করছে শিবসেনা। বিজেপির সব থেকে পুরনো এই জোটসঙ্গী এবার এনডিএ ছাড়তে চলেছে, তাদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রী অরবিন্দ সাবন্ত ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সম্ভবত আজই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে ছবিটা স্পষ্ট হবে।
এনসিপির শর্ত মেনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শিবসেনা প্রতিনিধি। সরকার গড়ার ব্যাপারে আজ বৈঠকে বসছে এনসিপি কোর কমিটি। পাশাপাশি এনসিপি জোটসঙ্গী কংগ্রেসও আজ বেলা ১০টায় বৈঠকে বসছে, সেনাকে সমর্থন করে সরকার গড়া হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। বৈঠক হবে ১০ জনপথে, নেতৃত্ব দেবেন সনিয়া গাঁধী। মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। তবে তাঁদের প্রকৃত সিদ্ধান্ত ছিল বিরোধী আসনে বসার, কারণ সেটাই ছিল মানুষের রায়।
১৬ দিন আগে বেরিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের ফল। কোনও দলই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পায়নি, তবে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিধায়ক সংখ্যা ছিল বিজেপি-সেনা জোটের কাছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দু’দলের তুমুল ঝামেলা বাধে, ভেঙে যাওয়ার জায়গায় চলে যায় জোট। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি সরকার গড়ার অপারগতা জানানোয় রবিবার রাতে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি শিবসেনাকে সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানান। আজ সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে।
সেনা কিছুদিন ধরে ইঙ্গিত দিচ্ছিল, বিরোধী এনসিপি-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়তে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু এনসিপি-কংগ্রেস উভয়েই জানায়, তারা বিরোধী আসনে বসবে। তবে শিবসেনা সরকার গড়ার আমন্ত্রণ পাওয়ায় নতুন করে শুরু হয় রাজনৈতিক দর কষাকষি। এত বছর এক সঙ্গে ঘর করার পর অবশেষে বিজেপির হাত ছাড়তে চলেছে তাদের সর্বপ্রথম জোটসঙ্গী শিবসেনা। এনসিপির শর্ত মেনে ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা ছেড়েছে তারা। রাজ্যপালের ডাক পাওয়ার পর সেনা বিধায়করা সকলে জড়ো হয়েছেন পার্টি প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন বান্দ্রার মাতোশ্রীতে, এতদিন বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কায় তাঁদের হোটেলে রাখা হয়েছিল।
২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১০৫। এরপর শিবসেনা, তাদের সদস্যসংখ্যা ৫৬, সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় ১৪৫ বিধায়কের থেকে অনেক কম। ওদিকে এনসিপি বিধায়ক রয়েছেন ৫৪ জন, কংগ্রেসের ৪৪। অর্থাৎ সেনার সঙ্গে দুই বিরোধী দল হাত মেলালে সরকার গড়া যেতে পারে।
বিজেপি কোর কমিটিও দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের নেতৃত্বে আজ মুম্বইয়ে বৈঠকে বসছে।