Live Updates: নতুন পরোয়ানা জারি, নির্ভয়া ধর্ষণকারীদের ফাঁসি ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায়, মুকেশের প্রাণভিক্ষার পিটিশন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি, ফাঁসি কার্যকরে 'দেরি', রাজনৈতিক দলগুলিকে নিশানা নির্ভয়ার মায়ের
বিস্তারিত একটু পরে
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: মুকেশ সিংহের প্রাণভিক্ষার পিটিশন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফলে নির্ভয়াকাণ্ডের ৪ দোষীর অন্যতম, মুকেশের ফাঁসিকাঠ থেকে রেহাই পাওয়ার আর কোনও রাস্তা নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্ভয়ার ধর্ষণকারীর প্রাণভিক্ষার আর্জি বাতিলের সুপারিশ করে সেটি পাঠিয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তা নাকচ করেন তিনি। সংবাদ সংস্থা জনৈক সরকারি কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুকেশ সিংহের ক্ষমাভিক্ষার পিটিশনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়। মন্ত্রক দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সেটি বাতিল করা হোক, এই সুপারিশেরই পুনরাবৃত্তি করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রাষ্ট্রপতি ভবনের এই বার্তা চলে এসেছে। তিহার জেল কর্তৃপক্ষকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে।
দিল্লি সরকার পিটিশনটি বাতিলের সুপারিশ করার পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠান।
একদিকে নির্ভয়ার ধর্ষণকারীদের একজন যখন বারবার প্রাণ বাঁচানোর যাবতীয় উপায় ব্যবহার করছে, সেসময় কেন মেয়ের নৃশংস অত্যাচারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় বিলম্ব হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলছেন ক্ষুব্ধ আশা দেবী, নির্যাতিতার মা। মেয়ের মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তোলা, চার দোষীর ফাঁসিতে ‘বিলম্ব ঘটানো’র অভিযোগে তিনি রাজনৈতিক দলগুলিকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, যে লোকগুলি ২০১২-র ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল, তারাই এখন রাজনৈতিক লাভ তুলতে আমার মেয়ের মৃত্যুকে ব্যবহার করছে। এই দোষারোপের মধ্যে আমি ফেঁসে গিয়েছি বলে মনে হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ২০১৪র নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে, দিল্লি হাইকোর্টের ঠিক করা দিনে অর্থাত ২২ জানুয়ারিই যাতে চার দোষীর ফাঁসি হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। দিল্লির এক আদালতের বিচারক মুকেশ ও নির্ভয়া গণধর্ষণ, হত্যায় দোষী বাকি তিনজনকে ২২ জানুয়ারি ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সতীশ কুমার অরোরা গত ৭ জানুয়ারি এ ব্যাপারে ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট জারি করেছিলেন। আজ ফাঁসির সাজা কার্যকর করার ওপর ওয়ারেন্ট প্রকাশ করতে পারেন তিনি।
মৃত্যুদণ্ডের ওয়ারেন্ট বাতিল করার জন্য মুকেশের পিটিশন শুনেছেন যে বিচারক, গতকাল তিনি ওই আইনের উল্লেখ করেন যাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দোষীদের সাজা কার্যকর হওয়ার আগে প্রস্তুতির জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে কিউরেটিভ পিটিশন দিয়েছিল মুকেশ। সেটি নাকচ হওয়ার পর চলতি সপ্তাহে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে আবেদন করে সে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -