লখনউ: হিমালয় থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাহারানপুরের বাসিন্দারা সাতসকালেই পেলেন 'উপহার'। উত্তরপ্রদেশের এই শহরের বাসিন্দারা সাতসকালে উঠেই দেখতে পান বরফশুভ্র হিমালয়ের চূড়া। দূরত্ব অনেকটা হলেও লকডাউনের জেরে কম দূষণ ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর পরিষ্কার আকাশের সুবাদে সারাদিনই সাহারানপুর থেকে দেখা গেল হিমালয়কে। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা পাওয়া গিয়েছে হিমালয়ের।


আর হিমালয়কে খালি চোখে দেখার এই দৃশ্য শুধু সাহারানপুরেই আটকে থাকেনি। নেটমাধ্যমের সুবাদে গোটা দেশবাসীর কাছেই তা পৌঁছে গিয়েছে। হিমালয়কে খালি চোখে দেখতে পেয়ে ক্যামেরাবন্দি করার লোক সামলাতে পারেননি ফটোগ্রাফাররা। যারপর তারা সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতেই যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। আর ঘরবন্দি অবস্থাতেও হিমালয়ের অপরূপ রূপ দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত নেটবাসিন্দারা।


সাতসকালের মতোই সূর্যাস্তের সময় সূর্যের সোনালি আভায় হিমালয়ের তামাটে বর্ণ ধারণের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় একইরকম ভাইরাল হয়েছে। গতবছর প্রথমবার সাহারানপুর থেকে খালি চোখে হিমালয়ের দেখা মিলেছিল। করোনার শৃঙ্খল রুখতে জারি থাকা লকডাউনের জেরে গাড়ি চলাচল থেকে কারখানা বন্ধ থাকায় দৃষণের মাত্রা কম থাকায় দেখা গিয়েছিল যে ছবি।




এবারেও কার্যত তাই। পাশাপাশি যোগ হয়ে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে আরও পরিষ্কার আকাশ। আইএফএস রমেশ পাণ্ডে ট্যুইটারে সকালের বরফশুভ্র হিমালয়ের ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'ফের সাহারানপুর থেকে দেখা গেল হিমালয়। টানা বৃষ্টির পর এখানে আকাশ পরিষ্কার, একিউআই ৮৫।' সাতসকালের হিমালয়ের ছবিটি তুলেছেন বিবেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সন্ধের হিমালয়কে ক্যামেরাবন্দি করেছেন দুশ্যন্ত কুমার।


সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকের ছবি ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি গত বছরের হিমালয় দেখতে পাওয়ার ছবিগুলিও সামনে উঠে এসেছে।


পেশায় সরকারি কর্মচারি দুশ্যন্তও জানান, দূষণ কম থাকায় ও টানা বৃষ্টির জেরে এভাবে হিমালয়কে দেখা গিয়েছে। গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রীকে সূর্যান্তের সময় এভাবে উজ্জ্বলভাবে দেখতে পাওয়াটা সত্যিই যেন অনন্য এক অনুভূতি।