জোধপুর: এক পাকিস্তানি উদ্বাস্তু পরিবারের ১১ সদস্যকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে রাজস্থানের যোধপুর জেলার লোরতা গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে রয়েছে বুধা রাম ও তাঁর স্ত্রী অনিতাদেবী। দুজনের বয়সই ৭০-এর কোঠায়। মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাঁদের তিন মেয়ে লক্ষ্মী, প্রিয়া ও সুমন। তালিকায় রয়েছে বুধা রামের ছেলে রবি। এছাড়া রয়েছে পাঁচ শিশুও।
জোধপুর (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার জানান, ঘটনাস্থল থেকে কিছু কীটনাশক, ঘুমের ওষুধ ও ইঞ্জেকশনের খালি ভায়াল উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধারামের তিন মেয়ের দুজন প্রশিক্ষিত নার্স।
ঘরের বাইরে দালানে ঘুমনোয় কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন রবির ভাই কেওয়াল রাম। পরিবারের তিনিই একমাত্র জীবিত সদস্য। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য তিনি নিজের শ্বশুরবাড়ির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
কেওয়াল রাম জানান, রবি ও তাঁর বিয়ে একই পরিবারের দুই বোনের সঙ্গে হয়। মেয়ের পরিবারও পাকিস্তানি উদ্বাস্তু। বাড়ি জোধপুরের মান্দোরে। কেওয়ালের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের গার্হস্থ্য কলহ চলছে।
কেওয়াল বলেন, তাঁদের স্ত্রীরা বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে। তাঁর চার সন্তানের মধ্যে তিনজন তাঁর সঙ্গে থাকে। একজন স্ত্রীর সঙ্গে থাকে। তিনি যোগ করেন, যে পাঁচজন শিশুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে তিনজন কেওয়ালের সন্তান। বাকি দুজন রবির।
কেওয়াল রামের বয়ানের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। কেওয়াল জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যে অভিযোগ এনে হেনস্থা ও বদনাম করার চেষ্টা করেছে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
যদিও, কেওয়াল মনে করেন না, বাইরে থেকে কেউ বিষ মিশিয়ে খাইয়েছে। কারণ, তিনি ঘরের বাইরে ঘুমোচ্ছিলেন। যদিও, পুলিশ কাউকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছে না। কেওয়াল রামকেও লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, বুধা রামের দুই মেয়ে প্রশিক্ষিত নার্স। সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। দেহগুলির পোস্টমর্টেম হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আপাতত, খালি ভায়ালগুলির পরীক্ষা করা হচ্ছে।