হায়দরাবাদ: মাত্র ৮৪ সেকেন্ডে ৮৪টা সেরামিক টাইলস ভেঙে বিশ্বরেকর্ড। সবাইকে চমকে দিয়ে এই নজির গড়ল হায়দরাবাদের ১৩ বছরের মেয়ে গণ সন্তোষীনি রেড্ডি। তেলেঙ্গানার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এই রেকর্ড গড়েছে 'বিস্ময় বালিকা'।


সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সন্তোষীনি বলেছে, ''২ জুন তেলেঙ্গানা রাজ্য প্রতিষ্ঠার ৮৪ মাস সম্পূর্ণ হচ্ছে। সেই উপলক্ষে ৩১ মে হাত দিয়ে ৮৪টা সেরামিক টাইলস ভেঙে বিশ্বরেকর্ড গড়ার সিদ্ধান্ত নিই।'' গত ৫-৬ মাস ধরে চলছিল এই বিশ্বরেকর্ড গড়ার কঠোর অনুশীলন। প্রত্যেকদিন হাত দিয়ে এই টালি ভাঙার কাজ করছিল সে। প্রতিদিনই বাড়ছিল স্পিড। যার ফলস্বরূপ ফাইনাল দিনে বিশ্বরেকর্ড গড়তে পারে ক্যারাটে ব্ল্যাক বেল্ট হোল্ডার।


তবে এই প্রথমবার নয়। অতীতেও বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ১৩ বছরের এই মেয়ে। 'সাইড টু সাইড-হেড রোটেশন'-এ বিশ্বরেকর্ড রয়েছে তার। ২০১২ সালে ৩৯ মিনিটে ৩৩১৫ বার হেড রোটেশন করতে সক্ষম হয় এই 'বিস্ময় বালিকা'। সিঙ্গল পারফর্মেন্সে ক্যারাটে, যোগ ও ডান্সকে একত্রিত করে ২০১৩ সালে সবাইকে অবাক করে দেন সন্তোষীনি। যার স্বীকৃতিস্বরূপ সরকারের 'বাল সূর্য পুরস্কার' পায় এই কন্যে।


সন্তোষীনি জানিয়েছে, ক্যারাটে তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সে মনে করে, নারীদের ক্ষমতায়নে এই মার্শাল আর্টের প্রয়োজন রয়েছে। বাবাই তার ক্যারাটে গুরু। হায়দরাবাদে একটা ক্যারাটে স্কুল চালান তিনি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পয়নশিপে নিজের সাফল্যের ছাপ রাখতে চায় সে। তবে এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয় হায়দরাবাদের কন্যে।


মার্শাল আর্ট ও বিশ্ব রেকর্ডের বাইরেও অন্য একটা দুনিয়া আছে তার। যেখানে খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাকেও সমান গুরুত্ব দিতে চায় সন্তোষীনি। বড় হয়ে আইএএস অফিসার হতে চায় সে। 'বিস্ময় বালিকা'র মতে, সমাজের কাজ করতেই সরকারি অফিসার হওয়ার ইচ্ছে তার। মেয়ের এই বিশ্বরেকর্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন বাবা জিএস গোপাল রেড্ডি। মেয়ের সাফল্য নিয়ে তিনি বলেন, ''যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজেদের আত্মরক্ষার করার ক্ষমতা রাখা উচিত নারীদের। বাবা হিসাবে দুই মেয়ের বিশ্বরেকর্ড তথা সাফল্যে আমি গর্বিত। মহিলাদের ক্যারাটে শেখা উচিত। ক্যারাটে যে কোনও মানুষের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এই কাজ করে মার্শাল আর্ট। ক্যারাটের মাধ্যমে যেকোনও পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন তারা।''