নয়াদিল্লি:  নয়ডায় একাধিক বাড়িতে তালা ভেঙে দামী জিনিসপত্র হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগে সুইগির দুই ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে গ্রেফতার করল পুলিশ।


ধৃতদের অপকর্ম সামনে আসার পরই অনলাইন ফুড অর্ডারিং ও ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম সুইগি ওই দুই ডেলিভারি পার্টনারকে সাসপেন্ড করেছে। অভিযুক্তরা কনট্রাক্টের ভিত্তি কাজ করত।


নয়ডা পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার রণবিজয় সিংহ বলেছেন, একটি বাড়িতে চুরির ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সেক্টর ৩৯ থানার পুলিশের একটি দল দুই অভিযুক্ত মহম্মদ কাফিল ও রবি শংকরকে পাকড়াও করেছে।


সিংহ বলেছেন, দুজন সুইগি ডেলিভারি পার্টনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে যে, তারা বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে দামী জিনিসপত্র চুরি করত। অভিযুক্তরা তাদের জন্য খাবার সরবরাহের জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট অঞ্চল গলফ কোর্স এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও আবাসনের তথ্য সংগ্রহ করত। জানার চেষ্টা করত, কোনও বাড়ি খালি বা কোন বাড়িতে সহজেই ঢুকে কাজ হাসিল করা যাবে। রাতে চুরির জন্য এমন বাড়িগুলিকেই তারা নিশানা করত।


দুই অভিযুক্তই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে শহরে এসেছিল। নয়ডার সেক্টর ১২৬-এ তারা থাকত।


এই ঘটনায় স্থানীয় সেক্টর ৩৯ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারাগুলির আওতায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।


সুইগি তাদের ডেলিভারি পার্টনারদের এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা করেছে। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের সাসপেন্ড করেছে।


সুইগি এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের ঘটনা কোম্পানি আদৌ বরদাস্ত করে না। এই ঘটনার তদন্তে কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।


পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির তালা ভাঙার কিছু যন্ত্রপাতি, একটি সুইগি ব্যাগ, একটি হাতঘড়ি, দুটি ট্রাক স্যুট, একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রবি শংকর চুরির সামগ্রী থেকে পাওয়া  বখরা দিয়ে একটি মোটরসাইকেলও কিনছিল। সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


চুরির সামগ্রী তাদের কাছ থেকে যে কিনত, তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে ধরার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।