নয়াদিল্লি: শরীরে কোভিড-১৯ এর যাবতীয় লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট দু -দুবার নেগেটিভ এসেছিল। শেষ পর্যন্ত মারাই গেলেন দিল্লির এক জুনিয়র আবাসিক ডাক্তার।
২৬ বছর বয়সি মৃত অভিষেক ভায়ানা দিল্লির মৌলানা আজাদ ইনস্টিটিউট ফর ডেন্টাল সায়েন্সেসের আবাসিক জুনিয়র ডাক্তার ছিলেন। সেখানকার ওরাল সার্জারি বিভাগে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
গত ২৬ জুন অভিষেক গিয়েছিলেন নিজের শহর রোহতকে, এইমস পরিচালিত মাস্টার অব ডেন্টাল সায়েন্সেসের পরীক্ষায় ২১ নম্বর স্থান পেয়ে কাউন্সেলিংয়ে হাজির হতে। দাদা ৩১ বছরের আমন ভায়ানাকে গত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বলেন, আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমার শরীরে করোনার যাবতীয় লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ১০০ শতাংশ করোনা পজিটিভ আমি।
১০ দিন আগে তাঁর বুকে সংক্রমণ, অস্বস্তি, নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ার মতো করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেলে পরিবারের লোকজন অভিষেককে একজন চেস্ট স্পেশালিস্টের কাছে নিয়ে যান। আমন বলেন, এক্স রে করা হয়, আমাদের বুকে সংক্রমণ রয়েছে বলে জানানো হয়। আমাদের ধারণা হয়, এটা ভাইরাল জ্বর, অন্য কিছু নয়। কিন্তু ও বারবারই বলতে থাকে, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হচ্ছে, লক্ষণগুলো বুকে সংক্রমণের নয়।
জুনের শেষের দিকে প্রথম করোনা পরীক্ষা করা হয়, ফের পরীক্ষা করা হয় ১ জুলাই। দুবারই রিপোর্টের ফল নেগেটিভ হ.য়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিষেক ঝিমিয়ে পড়েন। পরে অবস্থার গুরুতর অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তাঁকে অক্সিজেন দিলেও বাঁচানো যায়নি। আমন বলেছেন, শেষ নিঃশ্বাস ফেলা পর্যন্ত ও বলে যাচ্ছিল, ওর সব লক্ষণ করোনাভাইরাসের। ‘ও এমনিতে ফিট, সুস্থই ছিল, আরও অন্য নানা কারণে’ রিপোর্ট নেগেটিভ হয়ে থাকতে পারে বলে আমন জানিয়েছেন।

এদিকে হাসপাতালের নাম প্রকাশে নারাজ এক ডাক্তার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, অভিষেকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। কোভিড-১৯ এর সব লক্ষণ শরীরে থাকা সত্ত্বেও টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ওর আরেকটি নমুনা পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়েছে।