নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের পর্দাফাঁস রাজধানী দিল্লিতে। বাজেয়াপ্ত করা হল ৫০০ কেজি ওজনের কোকেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দক্ষিণ দিল্লিতে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন এই মাদকচক্রের পর্দাফাঁস হয় বলে জানা গিয়েছে। রাজধানীতে এযাবৎ এতবড় মাদকচক্রের সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। (Delhi Drug Bust)
এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়ার সংযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। হাইপ্রোফাইল পার্টিতে সেখান থেকেই মাদক সরবরাহ হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা দিয়েছে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল দক্ষিণ দিল্লিতে তল্লাশি অভিযানে নেমে মাদকচক্রের পর্দাফাঁস করে। বিপুল পরিমাণ কোকেন উদ্ধার হয়, যার দাম শুনে চোখ কপালে উঠেছে সকলের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আরও তথ্য পাওয়ারপ চেষ্টা চলছে। (Delhi News)
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অতিরিক্ত সিপি প্রমোদ সিংহ কুশওয়াহ বলেন, "ধৃতদের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। একজন দিল্লির বসন্ত বিহারের বাসিন্দা, তুষার গোয়েল।" তুষারের সঙ্গে তাঁর দুই সহযোগী হিমাংশু এবং ঔরঙ্গজেবও এই চক্রে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কুরলা ওয়েস্টের রিভার ভরত জৈনকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তুষার, হিমাংশু এবং ঔরঙ্গজেবের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়। রিসিভারকে মাদক সরবরাহ করতে মহিপালপুর এক্সটেনশনের গুদাম থেকে বেরোচ্ছিলেন তাঁরা। গুদামে মজুত ছিল আরও গাঁজা এবং কোকেন। ধৃতদের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার সংযোগও পাওয়া গিয়েছে। মাদকচক্রটি আসলে সেখান থেকেই চালিত হতো। একজন হ্যান্ডলারের খোঁজও পেয়েছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করে। গোপন মাধ্যমে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। এদিন বস্তাভর্তি কোকেন উদ্ধার করে তারা। পাশের একটি রাজ্য থেকে ট্রাকে চাপিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ মাদক দিল্লিতে আনা হয় বলে দানা গিয়েছে। যে পরিমাণ কোকেন উদ্ধার হয়েছে, তার মাধ্যমে ৫০ লক্ষ ডোজ তৈরি করা সম্ভব বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ হাজার টাকা প্রতি কেজিতে বিকোয় কোকেন। পশ্চিম এশিয়ার কোনও দেশ থেকেই ওই বিপুল পরিমাণ কোকেন আমদানি করা হয় বলে সন্দেহ তাদের। তাইল্যান্ড থেকে গাঁজা এনে মজুত করা হয়েছিল বলে সন্দেহ। সড়কপথে কোকেন আনা হয় দিল্লিতে। বিমানবন্দর হয়ে রাজধানীতে ঢোকে গাঁজা। সব পাচারের আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ।