কলকাতা:  সারা দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ তীব্র উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এ রাজ্যও এর ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন রাজ্যেই হাসাপাতালে বেডের অভাব, অক্সিজেন ও ওষুধের অপ্রতুলতা নিয়ে হাহাকার দেখা গিয়েছে।    অক্সিজেনের সঙ্কট নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি  দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।অক্সিজেন প্ল্যান্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে প্রেসার সুইং অ্যাডজোর্পশন (পিএসএ) প্ল্যান্ট বসাতে চায় রাজ্য। এ ধরনের ৭০ টি প্ল্যান্ট বসাতে চায় রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্র মাত্র চারটির অনুমতি দিয়েছে। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে এই পিএসএ প্ল্যান্ট সরবরাহ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্র রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে পিএসএ প্ল্যান্ট সরবরাহ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছিল। কিন্তু এরপর আর বিষয়টি আর এগোয়নি। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের রদবদল ঘটানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কোটা কমানো হচ্ছে। এখন আমাদের বলা হচ্ছে যে, আমাদের বলা হয়েছিল যে, ৭০ টি পিএসএ প্ল্যান্ট পাব। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে যে, প্রথম পর্যায়ে আমরা চারটি প্ল্যান্ট পাব। বাকি পিএসএ প্ল্যান্ট নিয়ে কোনও সুষ্পষ্টতা নেই। 


প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘যুক্তিসঙ্গতভাবে, সচ্ছ্বতা ও দ্রুততা’র সঙ্গে রাজ্যের কোটা স্থির করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন। 


উল্লেখ্য,   রাজ্যে আরও ঝাঁকিয়ে বসছে করোনার কালো মেঘ। ২০ হাজারের গণ্ডি টপকে রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২১ হাজার ছুঁইছুইঁ। বৃহস্পতিবারের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ৮৩৯ জন। এই সময়পর্বে মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ১২৯ জন রাজ্যবাসীর। একলাফে ১ হাজার ৫২৯ জন বেড়ে এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ২১৩ জনে।আশঙ্কার মাঝে অবশ্য স্বস্তির খবরও যথেষ্ট। গত একদিনে রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ১৮১ জন। যার ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনামুক্তির হার পৌঁছে গেল ৮৬.৬৮ শতাংশে।গত একদিনে রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৭০ হাজার ৪৭৩টি। যার মধ্যে ২১ হাজার ৮৩৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। যার ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যের সংক্রমণের হার ৯.৫৬ শতাংশ। আগের কয়েকদিনের মধ্যেই সংক্রমণের হারে রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগণায়। আর মৃত্যুতে কলকাতা।