আইজল: পাথর-খাদানে (Stone Quarry) ধস (Collapse) নেমে ৮ জনের মৃত্যু হল মিজোরামে (Mizoram)। একটি সূত্রের মতে, মৃতদের পাঁচ জন পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) বাসিন্দা, ২ জন ঝাড়খণ্ড ও ১ জন অসমের বাসিন্দা। পরে মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) ট্য়ুইটারে ওই ৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেন। সঙ্গে জানান, দেহ ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত মিজোরাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
যা জানা গেল...
সোমবারের ওই ঘটনায় অন্তত ১২ জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছিল সংবাদসংস্থা এএনআই। তাঁদের মধ্যে ৫ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছাড়াও অসমের ৩ জন, ঝাড়খণ্ডের ২ জন ও মিজোরামের ২ জন বাসিন্দার কথা বলা হয়। তার পর আজ সকালে দেহ উদ্ধারের খবরে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে এখনও উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে। এদিন সকালে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুজন অফিসার ও ১৩ জন সদস্যও সেখানে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
কী ভাবে ঘটেছিল?
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গত কাল এক বেসরকারি সংস্থার অধীন ওই পাথর খাদানের বড় অংশ ভেঙে পড়েছিল। বিপর্যয়ের সময় সেখানে কাজ করছিলেন অন্তত ১২ জন। সঙ্গে ছিল পাঁচটি এক্সক্যাভেটর-সহ একাধিক ড্রিলিং মেশিন। সব নিয়েই চাপা পড়ে যান তাঁরা। পরে অবশ্য নাহথিয়াল জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার বলেন, 'অন্তত ১৫ জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুপুর ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে।' তা হলে এই মুহূর্তে ঠিক কত জন আটকে রয়েছেন ধসের নিচে? ধোঁয়াশা রয়েছেই।
উদ্ধারকাজে হাত...
ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের ভলান্টিয়াররা ঘটনার পরই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন। একটি মেডিক্যাল টিমকেও বিপর্যয়স্থলে পাঠানো হয়। আপাতত রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং অসম রাইফেলস তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ করছে। তবে এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই জানাচ্ছেন, পাথর খাদানের আলগা মাটি ধসেই এই বিপর্যয় ঘটেছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, এই কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? তাতে কোনও গাফিলতি ছিল না তো?
আরও পড়ুন:কালই তো বললেন টাকা লাগবে না!কেন্দ্রকে নিশানা করায় মমতাকে পাল্টা সুকান্তর