সুনীত হালদার, হাওড়া: নগদ (cash) ১১ লক্ষ টাকা ও ৩ লক্ষ টাকা সোনার (gold) গয়না উদ্ধার (recovery) ঘিরে চাঞ্চল্য হাওড়া স্টেশনে (howrah station)। আরপিএফ (RPF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ন'টা নাগাদ তাদের একটি দল হাওড়া স্টেশনের আট নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে নজরদারি চালাচ্ছিল। তখনই এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে আটক (detention) করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। ব্যাগ খুলে তল্লাশি করা হয়। দাবি, তখনই তাঁর ব্যাগ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও কিছু সোনার জিনিস পাওয়া যায়।


কী জানা গেল?
ব্যক্তির নাম ভিকি কুমার বলে জানা গিয়েছে। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া নগদ ও সোনার জিনিসের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছিল ভিকিকে। কিন্তু তিনি কিছুই পেশ করতে পারেননি। এর পর কলকাতার আয়কর অফিসের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। ধৃত ভিকি কুমার-সহ যাবতীয় টাকা ও সোনা তুলে দেওয়া হয় আয়কর আধিকারিকদের হাতে।


নতুন নয়...
হাওড়া স্টেশনে এভাবে সোনা ও নগদ উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। গত জুলাই মাসেই আড়াই কোটি টাকার বেশি অর্থমূল্যের সোনা মেলায় এক যাত্রীকে আটক করে রেলপুলিশ।  জানা যায়, ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া সোনা বাজেয়াপ্ত করে আরপিএফ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ডাউন শ্রী সত্য প্রশান্তি নিলায়ম হাওড়া এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে পৌঁছেছিল। তখনই ট্রলি ব্যাগে নিয়ে এক যাত্রী সন্দেহজনক ভাবে প্লাটফর্ম দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করলে তাঁকে হাতেনাতে ধরেন আরপিএফ জওয়ানরা। ধৃতের ব্যাগ তল্লাশি করলে ৫ কিলো ১৩৫ গ্রাম সোনা মেলে বলে জানান তাঁরা। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য ২ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও তাঁর কাছ থেকে নগদ ৪৭,০০০ টাকা উদ্ধার মিলেছিল। বছর ৫৭-র ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি সোনার কোন প্রমাণপত্র দাখিল করতে না পারায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আরপিএফের  আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করে রেল পুলিশ। বিষয়টির সঙ্গে সোনা-পাচারের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়। তার পরে ফের এই ঘটনা। 


আরও পড়ুন:মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে!’তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের