লখনউ: দেশের ৯৯ শতাংশ মুসলিমই সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা ইস্যুতে সর্বসম্মতির ভিত্তিতে দেওয়া রায়ের রিভিউ চেয়ে পিটিশন দেওয়ার পক্ষপাতী বলে দাবি করলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) সাধারণ সম্পাদক মৌলানা ওয়ালি রহমানি। অযোধ্যা মামলার সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির মধ্যে ছিল না এআইএমপিএলবি। যদিও আগামী ৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ পিটিশন পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। গত ৯ নভেম্বরের রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে, যেখানে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, সরকার গঠিত ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণ হওয়া উচিত বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ। রহমানি বলেছেন, মুসলিমরা বিচারবিভাগকে ভরসা করে বলেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হচ্ছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়ের পর সেই আস্থা খানিকটা চিড় খেয়েছে। এদেশের ৯৯ শতাংশ মুসলিমই রিভিউ পিটিশন চান। ওদের একটা বড় অংশ তার বিপক্ষে বলে মনে করা ভুল হবে। যদিও আমাদের রিভিউ পিটিশন খারিজ হয়ে যাবে বলে সন্দেহ করছি, এও বলেন তিনি। সেইসঙ্গে বলেন, কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, পিটিশন দায়ের করা হবে না। এটা আমাদের আইনি হক। রায়ে একাধিক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আছে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর দীর্ঘ কয়েক দশকের পুরানো অযোধ্যা বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত, এই মত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রহমানি বলেন, যাদের মসজিদের ব্যাপারে আগ্রহ নেই, তারাই এসব বলছে। তারা আতঙ্কে রয়েছে, অন্যদেরও আতঙ্কে থাকুক, চায়। বুদ্ধিজীবারা এই ধুয়ো তুলেছেন, কিন্তু মুসলিম সমাজের সমস্যাগুলি সমাধানে কোনও বাস্তব ভাবনাচিন্তা ওঁদের নেই। এই সম্প্রদায়ের জন্য কী করেছেন, সেটা ওঁদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত।
এদিকে অযোধ্যা ইস্যুর মূল মামলাকারীদের একটি পক্ষ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দেবে না, যদিও মসজিদ তৈরির জন্য শীর্ষ আদালতের রায়ে ৫ একর বিকল্প জমির প্রস্তাব গ্রহণ করবে কিনা, সে ব্যাপারে এখনও কিছু ঠিক করেনি।