উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহর (পূর্ব) পুলিশ সুপার রাজ কুমার অগ্রবাল বলেছেন, গত ১৩ জুলাই মেয়েটিকে প্রতিবেশী তিন কিশোর অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করে ওই তিনজন। শুক্রবার রাতে বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অগ্রবাল।
নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশ হয়ে পড়েছিল সে। তার ওপর প্রতিবেশে কয়েকজন মহিলার বিদ্রুপ সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি এভাবে আত্মহত্যা করল বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন।
অগ্রবাল জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা সম্পর্কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা নিহত নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছেন। কর্তব্য গাফিলতির জন্য কুপারগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক, হেড কনস্টেবল ও কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
দুই মহিলা সহ তিন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অগ্রবাল।
গত ১৩ জুলাই তিন প্রতিবেশী মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরের দিন বাড়িতে ফিরে পুরো ঘটনা সে তার বাবা-মাকে জানায়। তাঁরা প্রথমে রাই-পুরওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেন। শেষপর্যন্ত ২৭ জুলাই অভিযোগ দায়ের করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।