নয়াদিল্লি:  ষোষণা হয়ে গেল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের। রবিবাসরীয় বিকেলে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ভোটের দামামা বাজিয়ে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা করলেন, ২০১৯-এ গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচন হবে ৭ দফায়। কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১১ এপ্রিল।  ভোট শেষ ১৯ মে। প্রথম দফা - ১১ এপ্রিল; দ্বিতীয় দফা - ১৮ এপ্রিল; তৃতীয় দফা - ২৩ এপ্রিল; চতুর্থ দফা - ২৯ এপ্রিল; পঞ্চম দফা - ৬ মে; ষষ্ঠ দফা - ১২ মে; সপ্তম দফা - ১৯ মে।  ২০১৯-এ দিল্লিতে ক্ষমতায় আসছে কারা, জানা যাবে আগামী ২৩ মে।


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী,  ১১ এপ্রিল ২০টি রাজ্যের ৯১টি আসনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। ১৮ এপ্রিল ১৩টি রাজ্যের ৯৭টি আসনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ৩ দফার নির্বাচন ২৩ এপ্রিল, ভোট হবে ১৪টি রাজ্যের ১১৫টি আসনে। ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায়, ৯ রাজ্যের ৭১টি আসনে ভোটগ্রহণ। পঞ্চম দফার ভোট ৬ মে। ৭ রাজ্যের ৫১টি লোকসভা আসনে। ভোটগ্রহণ। ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ ১২ মে। ৭ রাজ্যের ৫৯টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। শেষদফা অর্থাৎ সপ্তম দফার ভোট হবে ১৯ মে। ৮ রাজ্যের ৫৯টি আসনে ভোটগ্রহণ।

সব রেকর্ড ভেঙে এবারই প্রথম ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে পশ্চিমবঙ্গে। ১১ এপ্রিল, ১ম দফায় পশ্চিমবঙ্গের ২টি আসনে ভোটগ্রহণ।  ১৮ এপ্রিল, ২য় দফায়, পশ্চিমবঙ্গের ৩টি আসনে ভোট। তৃতীয় দফার ভোট ২৩ এপ্রিল। বাংলার ৫টি লোকসভা আসনে ভোট হবে।  ২৯ এপ্রিল, চতুর্থ দফায় বাংলার ৮টি আসনে ভোট নেওয়া হবে।  ৬ মে বাংলার ৭টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ। ১২ মে, ষষ্ঠ দফায় , বাংলার ৮টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। ১৯ মে, সপ্তম অর্থাৎ শেষ দফায় ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গের ৯টি লোকসভা আসনে। এর আগে, ২০০৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ১ দফায়। ২০০৯-এ দফা বেড়ে হয় ৩। ২০১৪-য় বাংলায় ৫ দফায় হয় লোকসভা নির্বাচন।




  • পশ্চিমবঙ্গে কোন দফায় কত আসনে ভোট: ১১ এপ্রিল (১ম দফা) পশ্চিমবঙ্গের ২ আসনে ভোট। ১৮ এপ্রিল (২য় দফা) পশ্চিমবঙ্গের ৩ আসনে ভোট। ২৩ এপ্রিল (৩য় দফা) পশ্চিমবঙ্গের ৫ আসনে ভোট। ২৯ এপ্রিল (৪র্থ দফা) পশ্চিমবঙ্গের ৮ আসনে ভোট। ৬ মে (৫ম দফা) পশ্চিমবঙ্গের ৭ আসনে ভোট। ১২ মে (৬ষ্ঠ দফা) পশ্চিমবঙ্গের ৮ আসনে ভোট। ১৯ মে (৭ম দফা) পশ্চিমবঙ্গের ৯ আসনে ভোট।

  • পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৭ দফায়। বিহারে ভোট হবে ৪ দফায়। উত্তরপ্রদেশে ভোট হবে ৭ দফায়। অসম-বিহারে ৫ দফায় ভোট। জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হবে ৫ দফায় (জম্মু-কাশ্মীরের জন্য থাকছেন ৩ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক)।

  • প্রথম দফায় দেশের ৯১ আসনে ভোট। দ্বিতীয় দফায় ভোট ৯৭ আসনে ভোট। তৃতীয় দফায় ভোট ১১৫ আসনে ভোট। চতুর্থ দফায় ভোট ৭১ আসনে ভোট। পঞ্চম দফায় ভোট ৬১ আসনে ভোট। ষষ্ঠ দফায় ভোট ৫৯ আসনে ভোট। সপ্তম দফায় ভোট ৫৯ আসনে ভোট।

  • ৭ দফায় ভোট হবে লোকসভায়। প্রথম দফা - ১১ এপ্রিল; দ্বিতীয় দফা - ১৮ এপ্রিল; তৃতীয় দফা - ২৩ এপ্রিল; চতুর্থ দফা - ২৯ এপ্রিল; পঞ্চম দফা - ৬ মে; ষষ্ঠ দফা - ১২ মে; সপ্তম দফা - ১৯ মে;

  • ১৮ মার্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে মনোনয়ন। ২৯ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। ভোটগ্রহণ শুরু ১১ এপ্রিল। ২৩ মে ভোট গণনা।

  • অন্ধ্র, অরুণাচল, ওড়িশা, সিকিমে বিধানসভা ভোট। রাজ্যের লোকসভা আসনের সঙ্গেই হবে বিধানসভা ভোট।



  • ষোড়শ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ জুন।

  • সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। সব রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক কমিশনের।

  • সব রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজিপি-র সঙ্গে বৈঠক। বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও।

  • ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আমরা সফর করেছি। কেন্দ্র ও রাজ্যের শুল্ক দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

  • আবহাওয়া, ধর্মীয় উৎসব সবকিছুর কথা মাথায় রেখে নির্ঘণ্ট তৈরি হয়েছে।

  • এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ৯০ কোটি। নতুন ভোটারের সংখ্যা দেড় কোটি।

  • আজ থেকে চালু হয়ে গেল নির্বাচনী আচরণ বিধি।

  • প্রার্থীর নামে ফৌজদারী মামলা থাকলে মনোনয়নে উল্লেখ করতে হবে।

  • রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা অবধি লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না।

  • ইভিএমে থাকবে নাম, প্রতীক সহ প্রার্থীর ছবি। সব ভোটকেন্দ্রে থাকবে ভিভি প্যাট।

  • ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে লাউড স্পিকার বাজানো যাবে না।

  • সুষ্ঠু ভাবে ভোট পরিচালনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে।

  • নির্বাচন কমিশনের হেল্প লাইন নম্বর ১৯৫০। কোনও অভিযোগ থাকলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থাকছে।

  • ইভিএম সরানো হলে জিপিএস ট্র্যাক করা হবে।

  • সব সংবেদনশীল ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।

  • সোশাল মিডিয়ায় প্রচারের খরচ দেখাতে হবে নির্বাচনী খরচের মধ্যে। প্রার্থীদের প্রচারে খরচের উপর নজর রাখবে নির্বাচন কমিশন।