পাঠানকোট: কাঠুয়ার গণধর্ষণ, হত্যায় দোষী ঘোষিত তিন মূল অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এরা হল সাঞ্জি রাম, দীপক খাজুরিয়া ও পরবেশ কুমার। কাঠুয়ার যে মন্দিরে ৮ বছরের মেয়েটিকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়েছিল, সাঞ্জি রাম তার কেয়ারটেকার। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সাঞ্জি রাম, স্পেশাল পুলিশ অফিসার (এসপিও) খাজুরিয়া ও স্থানীয় বাসিন্দা পরবেশ কুমার আজ রণবীর পেনাল কোডের ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, খুন, অপহরণ, গণধর্ষণ, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা, নির্যাতিতাকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করা ও একই উদ্দেশ্য সংক্রান্ত ধারায় অপরাধী সাব্যস্ত হয়। তাদের আজীবন কারাবাস, মাথাপিছু ১ লক্ষ টাকা জরিমানার পাশাপাশি গণধর্ষণের জন্য ২৫ বছরের জেলও হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এছাড়া তাদের তিন সহযোগী সাব ইনস্পেক্টর আনন্দ দত্ত, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ ও এসপিও সুরেন্দর বর্মাকে তথ্যপ্রমাণ, নথি নষ্ট করায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাবাস, মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে অতিরক্ত ৬ মাস জেল খাটতে হবে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের (এনসিপি) চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা অবশ্য শাস্তি ঘোষণার আগে বলেছিলেন, আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, ওদের কঠোরতম সাজা দিয়ে দৃষ্টান্ত হিসাবে ফাঁসিতে ঝোলানোর আবেদন করছি কেননা শিশু নির্যাতন বেড়ে চলেছে, এতে উদাহরণ স্থাপিত হবে।
সরকার পক্ষও দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিল।
গত বছরের ১০ জানুয়ারি মেয়েটিকে অপহরণের পর কাঠুয়ার গ্রামের মন্দিরে মাদক খাইয়ে আচ্ছন্ন করে চারদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের পর মেরে, পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সারা দেশে শোরগোল ছড়ায়। পঠানকোটের জেলা ও দায়রা আদালতে দৈনিক শুনানির ভিত্তিতে মামলার বিচার চলে।
আজ মামলার মোট সাত অভিযুক্তের ৬ জনকে দোষী ঘোষণা করা হয়। সাঞ্জি রামের ছেলে বিশাল জাঙ্গগোত্রকে ‘সংশয়, সন্দেহের অবকাশ’ থাকায় আদালত অব্যাহতি দেয় বলে জানান নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী মুবিন ফারুকি।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের অপরাধ দমন শাখা এক নাবালক সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল। ওই নাবালকের বিচার এখনও শুরু করা যায়নি জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে তার বয়স নির্ধারণের আবেদন জানিয়ে পেশ হওয়া পিটিশনের শুনানি না হওয়ায়।