নয়াদিল্লি: কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লির রেল পরিষেবা। শুক্রবার ৫৫টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। এছাড়াও ২৫টি ট্রেনের যাত্রাপথ কাটছাঁট করতে হয়েছে। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় অন্তত ১১টি ট্রেন চলেছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে।


এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বছরের এই সময়ে স্বাভাবিক। তবে ভোররাত থেকেই ছিল কুয়াশার দাপট। ভোর সাড়ে পাঁচটায় পালামের দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে এসেছিল। সফদরজঙ্গের দৃশ্যমানতা ছিল মাত্র ৪০০ মিটার। বেলা বাড়ার পরেও পরিস্থিতির সেভাবে উন্নতি হয়নি। সকাল সাড়ে আটটায় পালামের দৃশ্যমানতা বেড়ে ৫০ মিটার হলেও অপরিবর্তিত ছিল সফদরজঙ্গের পরিস্থিতি।

রেল দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পুরী-নয়াদিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, হাওড়া-নয়াদিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেস, মালদা-আনন্দবিহার এক্সপ্রেস, মুম্বই-অমৃতসর এক্সপ্রেস এবং মালদা-নয়াদিল্লি ফরাক্কা এক্সপ্রেস বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চলেছে। এছাড়া দৃশ্যমানতা কম থাকায় বেশিরভাগ ট্রেনই দু-তিন ঘণ্টা দেরিতে চলেছে।

তবে রেল থেকে জানানো হয়েছে, বছরের এই সময়ে কুয়াশায় যে সমস্ত এলাকার ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, অত্যাধুনিক ‘ফগ পাস’ প্রযুক্তির ব্যবহারে সেই সকল এলাকার পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি ঘটানো গিয়েছে চলতি বছরে। ঘন কুয়াশার মধ্যেও জিপিএস-সমৃদ্ধ এই প্রযুক্তি রেলপথ চলাচলের উপযোগী রয়েছে কি না, তা নিয়ে চালককে আগাম অবগত করে। গোটা দেশে মোট ৬,৯৪০টি ‘ফগ পাস’ ইউনিট ব্যবহার করা হচ্ছে। যার মধ্যে উত্তর ভারতেই ব্যবহৃত হচ্ছে ২,৬৪৮টি ইউনিট।