নয়াদিল্লি: ভারতে যতজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ক হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশ ব্যক্তির শরীরেই হয় কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি, অথবা সামান্য উপসর্গ ছিল। এমনই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব অগ্রবাল।


তবে শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বেই এই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্র থেকেও জানা গিয়েছে, ৭৮ শতাংশ রোগীর শরীরে কোনওরকম সংক্রমণ ছিল না। ইতালির একটি গ্রাম থেকে সারা দেশ ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস। কিন্তু সেই গ্রামেও গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ রোগীর শরীরে উপসর্গ ছিল না। আইসল্যান্ডেও গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, অর্ধেক করোনা আক্রান্তেরই উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

২০০৩ সালে সার্স বা ২০১৪ সালে ইবোলায় যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন বা মৃত্যু হয়েছিল, এবার করোনা ভাইরাসে তত মানুষ আক্রান্ত হননি। মৃত্যুর হারও কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের পক্ষে ভাল কোনও খবর নেই। কারণ, এতদিন বলা হচ্ছিল, যাঁদের শরীরে উপসর্গ নেই, তাঁরা অন্যদের ততটা সংক্রমিত করছেন না। কিন্তু এখন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, যাঁদের মধ্যে উপসর্গ নেই, তাঁরা অনেক বেশি বিপজ্জনক। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিষয়ক গবেষক জেফ্রি শ্যাম্যান জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টিন চালু করার আগে চিনের হুবেই প্রদেশে করোনা আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকেই দেখে মনে হচ্ছিল সুস্থ। তাঁদের মধ্যে কোনওরকম উপসর্গ ছিল না। তাঁরা সহজেই নিজেরে করোনা ভাইরাসের বাহকের তালিকা থেকে সরিয়ে রাখতে পারেন। ফলে এই ব্যক্তিরা বহু মানুষকে সংক্রামিত করতে পারেন। ভারতেও এই উপসর্গহীন বাহকদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।