হায়দরাবাদ : মদ না পেয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেয়ে প্রাণ গেল নয়জনের। গত দুদিনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কুরিচেড়ু শহরে। বুধবার রাতে একজনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আর শুক্রবার সকালে আরও ছয়জন মারা যান।
মৃতদের মধ্যে তিনজন ভিক্ষুক এবং বাকিরা স্থানীয় একটি ঝুপড়ির বাসিন্দা। গত দুদিনে প্রায় ২০ জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেয়েছিলেন।

মৃতদের বয়য় ২৫ থেকে ৬৫-এর মধ্যে। প্রকাশমের পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ কৌশল জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কুরিচেড়ু শহরে লকডাউন ছিল। এ কারণে মদ না পেয়ে ওই ব্যক্তিরা অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেয়েছিলেন।

প্রথমে স্থানীয় দুর্গা মন্দির চত্বরের বাসিন্দা এক ভিক্ষুক পেটে অসহ্য জ্বলুনি অনুভব করেন। বুধবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে আরও দুজনের তীব্র পেটে ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। পরিবারের সদস্যরা দারসি শহরে সরকারি হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যান। তাঁরা বৃহস্পতিবার সেদিন রাতেই মারা যান। আরও ছয়জনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে ওই ছয় জনের মৃত্যু হয়।

কৌশল জানিয়েছেন, স্থানীয় দোকানগুলিকে থাকা সমস্ত স্যানিটাইজার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মৃতরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিষাক্ত মদের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েছিলেন, কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কুরিচেড়ু ও শহরের সংলগ্ন এলাকায় গত ১০ দিন ধরে লকডাউন ছিল। লকডাউনে বন্ধ ছিল সমস্ত মদের দোকান।
মৃতদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার খাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কতটা পরিমাণ হ্যান্ডস্যানিটাইজার তাঁরা খেয়েছিলেন, তা জানা যায়নি।
অন্ধ্র সরকার দীর্ঘ লকডাউনের পর গত ৪ মে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন মদের দোকানগুলিতে দেখা গিয়েছিল ক্রেতাদের ভিড়।
যদিও সরকার মদের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং দোকানের সংখ্যাও কমিয়ে দেয়।