নয়াদিল্লি: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বামপন্থী’ তকমা দিয়ে কটাক্ষ কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের। গয়াল বলেছেন, অভিজিৎ বিনায়ক নোবেল পাওয়ায় ভারতীয় হিসাবে তিনি গর্বিত, কিন্তু তিনি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সহমত নন। অভিজিৎ বিনায়কের চিন্তাভাবনা পুরোপুরি বাম-ঘেঁষা এবং তিনি কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পকে সমর্থন করেছেন, যা দেশের মানুষ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা বলেছেন তিনি। তীব্র আলোড়ন হচ্ছে তাঁর মন্তব্যে।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোটের হয়ে প্রচার করতে পুণেতে এসেছেন গয়াল। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। শহরের ব্যবসায়ীদের জিএসটি নিয়ে অভাব অভিযোগও শোনেন তিনি। দাবি করেছেন, বিজেপি-শিবসেনা জোট ২৮৮টি বিধানসভা আসনের ২২০টির বেশিই পাবে।
বর্তমান নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্থনীতির হাল সামলানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনামূলক অভিমত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে গয়াল তা খারিজ করে বলেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নোবেল পেয়েছেন, আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু ওনার অর্থনীতি সম্পর্কে উপলব্ধি সবাই জানেন। ওঁর মতামত পুরোপুরি বামঘেঁষা। উনি ন্যায় (লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি) সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু ভারতবর্ষের জনতা পুরোপুরি ওঁর ভাবনাচিন্তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। গয়াল আরও বলেন, আমি ওনার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে গর্বিত, কিন্তু ওনার মতামতের সঙ্গে সহমত হতেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই, বিশেষ করে যখন দেশের মানুষই তা খারিজ করেছেন। আমার মনে হয় না, ওঁনার মতামত গ্রহণ করার প্রয়োজন আছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বর্তমান সরকারের অর্থনীতি সামাল দেওয়া নিয়ে সমালোচনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে গয়াল বলেন, আমি হতবাক যে মনমোহন সিংহের মতো বিরাট মাপের অর্থনীতিবিদও ২০১৪ সালে অর্থনীতির যে কী খারাপ হাল করে চলে গিয়েছিলেন, আর কীভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি তার গতিমুখ ঘুরিয়ে দিয়েছে, সেটা বুঝতে পারছেন না। মনমোহন জমানায় মহারাষ্ট্রে টেলিকম, কয়লা, জলসেচ কেলেঙ্কারির মতো দুর্নীতি হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।