ইসলামাবাদ: আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করতে চলেছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ। এ ব্যাপারে আজই তাদের পাকাপাকিভাবে ঘোষণা করার কথা।


এফএটিএফ হল প্যারিসের একটি সংস্থা, এরা কোন দেশ জঙ্গিদের টাকা ঢালছে সে দিকে নজর রাখে। মঙ্গলবারই এফএটিএফ জানিয়ে দিয়েছে, নীতিগত কারণে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখবে তারা। জঙ্গিদের অর্থসাহায্য করা ও টাকা পাচার পুরোপুরি নির্মূল করতে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা ইসলামাবাদকে নির্দেশ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক এই নজরদারি সংস্থা নিজেদের বৈঠকে পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা পর্যালোচনা করেছে। জানিয়েছে, জঙ্গিদের অর্থসাহায্য ও টাকা পাচার বন্ধ করতে আগামী ৪ মাসে ইমরান খান সরকারকে আরও বহু ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাক মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এই দুই ক্ষেত্রে পাক সরকারের পদক্ষেপ সন্তোষযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে এফএটিএফ।

২০১৮-র জুন মাসে এই সংস্থা পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে। ২৭ পয়েন্টের একটি অ্যাকশন প্ল্যান দেওয়া হয় যা সম্পূর্ণ রূপায়িত করতে দেওয়া হয় ১৫ মাস সময়। বলা হয়, ব্যর্থ হলে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মত পাকিস্তানও কালো তালিকাভুক্ত হবে।

ঘটনা হল, মারাত্মক অর্থকষ্টে ভুগতে থাকা পাকিস্তান যদি এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকাতেই থেকে যায়, তবে ইমরান সরকারের পক্ষে আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের মত আন্তর্জাতিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলির থেকে ধার পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে তাদের অর্থনীতি।

তবে এ ক্ষেত্রে চিনের অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ, বেজিং এই মুহূর্তে এফএটিএফ-এর প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যেই চিন, তুরস্ক ও মালয়েশিয়া জঙ্গি দমনে ইসলামাবাদ ভাল কাজ করছে বলে প্রশংসা করেছে।