নয়াদিল্লি: তখন মাঝরাত। চেন্নাই থেকে আসা বিমানটা সবে নেমেছে দিল্লিতে। কিন্তু যাত্রীদের কারও নেমে আসার তাড়াহুড়ো নেই। সকলে উঠে দাঁড়িয়েছেন। তাকিয়ে আছেন দুই বৃদ্ধ বৃদ্ধার দিকে।

ওই দুজন আর কেউ নন, বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান চালক উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের বাবা মা। অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল এস বর্তমান ও তাঁর স্ত্রী, পেশায় চিকিৎসক শোভা বর্তমান। শুক্রবার কাকভোরে ওই বিমান দিল্লি এসে পৌঁছলে অন্য যাত্রীরা তাঁদের দুই সহযাত্রীর পরিচয় জানতে পারেন। তারপর স্ট্যান্ডিং ওভেশন দেন তাঁদের। বিমান থেকে সকলের আগে নামেন তাঁরা।




অভিনন্দনের বাবা মা দিল্লি আসেন ওয়াঘা থেকে তাঁদের বীর সন্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। রাত একটা নাগাদ রাজধানী ছোঁয় বিমানটি। দিল্লিতে নেমেই তাঁরা রওনা দেন অমৃতসরের দিকে। সম্ভবত ওয়াঘা সীমান্ত থেকে ছেলেকে স্বাগত জানাবেন তাঁরা।

উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন এখন ভারতবাসীর ঘরে ঘরে অত্যন্ত প্রিয় ও পরিচিত একটি নাম। আদ্যিকালের মিগ ২১ বিমান নিয়ে পাকিস্তানি এফ ১৬ বিমানের সঙ্গে আকাশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বুধবার তিনি নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে যান। অত্যাধুনিক এফ ১৬ বিমানটি গুলি করে নামান তিনি কিন্তু তারপর তাঁর বিমানও দুর্ঘটনায় পড়ে। প্যারাশ্যুটে করে বিমান থেকে নেমে আসেন অভিনন্দন কিন্তু হাওয়া তাঁকে টেনে নিয়ে যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। জনতার হাতে তাঁর রক্তাক্ত মুখের ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপর চায়ের কাপ হাতে পাক সেনা আধিকারিকের সঙ্গে কথোপকথন। অভিনন্দনের বাবাও বলেছেন, তাঁদের ছেলে যেভাবে নিরুদ্বিগ্ন সাহসের সঙ্গে পাকিস্তানিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন, তাতে তাঁরা গর্বিত। তিনি সত্যিকারের সৈনিক।