সন্দীপ সরকার, প্রবীর চক্রবর্তী ও করুণাময় সিংহ, কলকাতা ও মালদা: কলকাতার ৭টি জায়গায় শুভেন্দুর সমর্থনে পোস্টার, ব্যানার। আজ সকালে খিদিরপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া জোড়া ব্যানার দেখা যায়। তাতে লেখা, মানুষের কাজ করতে পদ লাগে না। একবালপুর বাস স্টপেও দুয়ারে সরকার বিজ্ঞাপনের পাশে শুভেন্দুর সমর্থনে বেশ কয়েকটি পোস্টার ও ব্যানার দেখা যায়। পাশাপাশি, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো, করুণাময়ী, বেহালা চৌরাস্তায় জেমস লং সরণি এবং ম্যান্টনে শরৎ সদনের কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডে শুভেন্দুর সমর্থনে দাদার অনুগামী লেখা ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে।


শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ছেদের জল্পনা যত জোরাল হচ্ছে, ততই কলকাতা ও জেলায় পোস্টার ব্যানার পড়ছে দাদার অনুগামীদের নাম করে। বুধবার ফের কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার।  উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার ৭টি জায়গায় একই ধরনের পোস্টার দেখা গেল। খিদিরপুর, একবালপুর, টালিগঞ্জ, করুণাময়ী, বেহালা জেমস লং সরণি, বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এবং ডায়মন্ড হারবার রোডে চোখে পড়ে দাদার অনুগামীদের নামে পোস্টার।

কলকাতার পাশাপাশি, মালদার ইংরেজবাজারেও কৃষি আইনের প্রতিবাদে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চের পাশে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার দেখা যায়। ধর্না মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার। পাশেই শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

মালদার তৃণমূল কংগ্রেস কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেছেন, ‘এগুলো বিজেপি ও ঠিকাদারের কাজ। শুভেন্দু অধিকারী মালদা জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা সংগঠনের কাজ করেছি। কিন্তু এখন দাদার অনুগামী বলে কেউ নেই মালদায়।’

পাল্টা মালদার বিজেপি সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী জনপ্রিয় নেতা। তাঁর অনুগামীও মালদাতে রয়েছে। এই পোস্টার লাগানোতে অনুগামীদের হাত থাকতে পারে। বিজেপির কোনও হাত নেই।’

কী করবেন শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূলে থাকবেন? বিজেপিতে যোগ দেবেন?  নাকি নতুন দল গড়বেন? এরই মধ্যেই পাহাড় থেকে সমতলে পড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার।
বাড়ছে জল্পনা।

অন্যদিকে, মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও বিধায়ক পদ ছাড়েননি শুভেন্দু। এই অবস্থায় নিজের বিধানসভা এলাকায় দলের ব্লক কার্যালয় থেকে নিজের অফিস আলাদা করে নিলেন সদ্য প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। কেন অফিস সরিয়ে নিলেন তা তিনিই বলতে পারবেন, সাফাই জেলা নেতৃত্বের। শুভেন্দুর দেহটা তৃণমূলে মনটা অন্যত্র, কটাক্ষ বিজেপি-র।