কলকাতা: জমি-বিতর্কে এবার মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতীতে জমি ও বাড়ি নিয়ে বিতর্কে তিনি এবিপি আনন্দকে জানান, বাড়িটা বানানো হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর আগে। বাবা বাজার থেকেই জমি কিনেছিলেন, ৫০ বছর পর হঠাৎ কেন বিতর্ক, জানি না। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে এই যাতনা কি না, জানি না।‘ দিন কয়েক আগে বিশ্বভারতীর একটি অংশ দাবি করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখল করে রেখেছেন অনেকেই, যে তালিকায় রয়েছেন অমর্ত্য সেনও। যা নিয়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক।


বিশ্বভারতীর একটি অংশ জমি জবরদখল করে রেখে বাড়ি বানানোর অভিযোগ আনলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও লিখিত আকারে কোনও অবিযোগ তিনি পাননি বলেই জানান অমর্ত্য সেন। চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁর আক্রমণ, ‘আমাদের কোনও চিঠি দেয়নি বিশ্বভারতী। কিছু জানাননি উপাচার্য। যার বাড়ি তাঁকে কিছু না জানিয়ে অন্যত্র বলা হচ্ছে, আমি মনে করি এতে ছোটোলোকামি আছে, যা ঢাকা যাচ্ছে না।’

তিনি ইতিমধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবছেন বলেও জানান। আপাতত তাঁর বাড়ি প্রচীতি যে জমির উপর তৈরি সেখানকার লিজ নিয়েও কোনওরকম গন্ডোগোল নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জেরেই তাঁকে এই বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত অমর্ত্যবাবুর।

বাঙালি এই নোবেলজয়ীকে নিয়ে হঠাৎই তৈরি হওয়া বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। চিঠি লিখে অমর্ত্য সেনের পাশে থাকার বার্তা দেন। যা নিয়ে অমর্ত্যবাবুর সংযোজন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সহানুভূতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন, বিশ্বভারতী থেকে কেন মিথ্যে বলা শুরু, এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। এই আজগুবি ভাবনা রাজনৈতিক কারণকেই উস্কানি দিচ্ছে’।