কলকাতা: 'লালার টাকা কোথায় যায়? লালার বাড়িতে তল্লাশি হলে ওঁর সমস্যা কোথায়? লালার সহ্গে তৃণমূলের কী সম্পর্ক'


দু-দিনের বঙ্গসফর শেষে নিউটাউনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য সরকারকে শাণিত আক্রমণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

এরপরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক তৃণমূল ভবনে। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বললেন, 'লালার টাকা কোথায় যায় ওরাই খুঁজে বের করুক। মানুষ জানতে চায় কয়লাখনি কেন বিক্রি করা হল? কয়লার ব্লক কাদের দেওয়া হল? আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা বলে কেন কয়লার ব্লক বিক্রি করা হল?'

যে লালাকে নিয়ে এত তরজা। যে লালার নাম উঠে এল দুই হেভিওয়েট নেতার মুখে, কে তিনি? কে এই লালা?

অনুপ মাঝি ওরফে লালা নামে ওই ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকার অবৈধ কয়লা কারবারের মালিক। তাঁর মাধ্যমে টাকা পৌঁছোয় প্রভাবশালীদের কাছে। ওই কয়লা ব্যবসায়ীর খোঁজে বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে ২২টি জায়গায় অভিযান চালায় আয়কর দফতর। শেক্সপিয়র সরণি এবং গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে অনুপ ওরফে লালার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের অফিসাররা।কলকাতার পাশাপাশি ওইদিন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরেও কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চলে।

ঘটনার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মাত্রাও। বঙ্গ সফরে এসে ওই কয়লা ব্যবসায়ীর প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।

এখনও অনুপের নাগাল পায়নি আয়কর দফতর। তাঁকে হাজির করাতে আয়কর দফতর সমন জারি করেছে। অনুপের সঙ্গে অবৈধ কয়লা কারবারে জড়িত, এমন আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর খোঁজ চালাচ্ছে আয়কর দফতর বলে সূত্রের খবর।