অমৃতসর: পঞ্জাবের অমৃতসরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এই ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী। পঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোত সিংহ সিধুর স্ত্রী নভজ্যোত কউর সিধুর বিরুদ্ধেও অসংবেদনশীল আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। সিধুর স্ত্রী অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আবার এই দুর্ঘটনার জন্য রেলকে দায়ী করেছেন।


এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘এই দুর্ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী প্রশাসন। ট্রেন আসার সময় অ্যালার্ম বাজানো উচিত ছিল। ওই জায়গায় ট্রেনের গতি যেন বেশি না থাকে, সেটাও দেখা উচিত ছিল। দুর্ঘটনার সময় রেললাইনের উপর দুশোরও বেশি লোক ছিলেন। মৃতদের অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের বাসিন্দা।’

অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘১৯৪৭ সালে এই ধরনের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। সেই সময় এদিকে-ওদিকে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যেত। যারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘এই দুর্ঘটনায় আড়াইশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনা ঘটেছে আর ওদিকে ভাষণ চলছিল। এই দুর্ঘটনায় কয়েকজন শিশুরও মৃত্যু হয়েছে।’



অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ, ‘কংগ্রেস নেতারা অনুমতি ছাড়াই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। নভজ্যোত সিংহ সিধু ও তাঁর স্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন। ট্রেন যখন লোকজনকে পিষে দিয়ে যায়, ততক্ষণে তাঁরা সেখান থেকে চলে গিয়েছেন।’

সিধুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্ঘটনার পরেও ভাষণ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে নভজ্যোত এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি সেখান থেকে চলে যাই। এরপর আমাকে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয়। তখন আমি হাসপাতালের দিকে রওনা হয়ে যাই। দুর্ঘটনার সময় সেখানে কী হয়েছে কেউ বুঝতে পারেনি। লোকজন রেল লাইনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। ট্রেনের গতিও কমানো হয়নি।’