নয়াদিল্লি: উত্তর ইউরোপ ও সুমেরুর বায়ুমণ্ডলে আচমকাই বেড়ে গিয়েছে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা। ঠিক কী কারণে এভাবে বাড়ল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। ধন্দে বিশেষজ্ঞরাও।


ইউরোপ জুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, রাশিয়ার দিক থেকে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ আসছে। কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের নিউক্লিয়ার প্লান্টে কোনও সমস্যা নেই। রাশিয়ার এজেন্সি টিএএসএস জানিয়েছে যে, তাদের দুটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কোনও সমস্যা নেই। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে রয়েছে একটি প্লান্ট ও মুরমানস্কের কাছে রয়েছে আর একটি প্লান্ট। তারা জানিয়েছে, তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নির্ধারিত মাত্রার মধ্যেই রয়েছে।

নরওয়ে ও সুইডেনের নিউক্লিয়ার সেফটি সংক্রান্ত সংস্থা ‘দ্য ফিনিশ’ জানিয়েছে, বাতাসে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ কিছুটা বেড়েছে। তবে তা মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। ফিনল্যান্ড, স্ক্যান্ডেনেভিয়া ও সুমেরুর কিছু অংশে দেখা গিয়েছে ওই তেজস্ক্রিয় বিকিরণ।

সুইডিশ রেডিয়েশন সেফটি অথরিটি জানিয়েছে, কীভাবে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বাড়ল, তা এখনই জানা সম্ভব নয়। তবে নেদারল্যান্ডসের ‘পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট’ জানিয়েছে, সরাসরি রাশিয়া থেকে এসেছে কিছু রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ। ডাচ এজেন্সি বলছে, এই রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ কৃত্রিম অর্থাৎ মানুষের তৈরি। প্রকৃতিজাত নয়। তবে সংখ্যায় এতটাই কম যে, উৎস খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে না।

যদি সত্যি তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা বেড়ে যায়? বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানবশরীরে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। এমনকী, অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদও ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিকিরণের পরিমাণ সহনশীলতার মাত্রা সামান্য ছাড়ালেই বিলুপ্ত হতে পারে বেশ কিছু প্রজাতি। করোনা অতিমারীতে এমনিতেই গোটা বিশ্বের বেহাল দশা। তার ওপর নতুন কোনও বিপদ কি আসতে চলেছে? উৎকণ্ঠার প্রহর গুণছে বিশ্ব।