নয়াদিল্লি: লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেও, ভারত এক ইঞ্চিও জমি হারায়নি বলে দাবি করলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবন। গত বছর সীমান্ত-সংঘাত শুরু হওয়ার আগে যে অবস্থা ছিল, এখনও ঠিক সেটাই রয়েছে বলে জানালেন তিনি।


সংবাদসংস্থা এএনআই-কে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ‘আমরা কোনও জমি হারাইনি। আমরা যেখানে ছিলাম, ঠিক সেখানেই আছি। এক ইঞ্চি জমিও আমরা হারাইনি।’


গত বছরের এপ্রিল থেকে লাদাখে ভারত-চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা জওয়ান প্রাণ হারান। চিনের মোট কতজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে গত মাসে প্রথমবার চিনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে স্বীকার করা হয়েছে, তাদের চার সেনা অফিসার ও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।


গত মাসে প্যাঙ্গং লেক অঞ্চল থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত ও চিন। একইভাবে দেপস্যাং, হট স্প্রিংস ও গোগরা অঞ্চল থেকেও সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


ভারত প্রথম থেকেই বলে আসছে, কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বিরোধ মিটিয়ে নেওয়া উচিত। একাধিকবার আলোচনাতেও বসেছে দু’দেশ। তারপরেই লাদাখ থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 


গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান জানান, প্যাঙ্গং লেক অঞ্চল থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ভারতের আশঙ্কা কিছুটা কমেছে। তবে চিন্তা পুরোপুরি দূর হয়নি। এবার তিনি জানিয়ে দিলেন, লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের কোনও ক্ষতি হয়নি। 


একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘ভারতীয় ভূখণ্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত। ভারতের জমি কেড়ে নিতে পারেনি চিন। এমন অনেক অঞ্চল আছে, যেগুলি কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। ফলে আমরা যখন নিয়ন্ত্রণ করছি, তখন আমরা সেই অঞ্চলগুলিতে থাকছি, চিনের সেনাবাহিনী আবার যখন ওই অঞ্চলগুলিতে থাকছে, তখন তারা ওই অঞ্চলগুলি নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, কোনও সীমাবদ্ধ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নেই। এ বিষয়ে বিভিন্ন দাবি ও ধারণা রয়েছে। ফলে এখনও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া সম্ভব নয়।’