পুলওয়ামায় ভয়াবহ নাশকতার দুদিনের মাথায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল ওই সেনা অফিসারের। বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা করে জয়েশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি।
এই নিয়ে অশান্ত জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় জানুয়ারি থেকে দুবার আইইডি বিস্ফোরণ হল। গত ১১ জানুয়ারি রাজৌরির নৌশেরা সেক্টরে এক মেজর সহ দুজন সেনাকর্মী নিহত হন।
এদিকে পুলওয়ামার হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় জম্মুতে আজও তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার জম্মু শহরের উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে সেনা ফ্ল্যাগ মার্চ করে। আজ আরও ৯ কলাম বাহিনী পাঠিয়েছে সেনা। সব মিলিয়ে জম্মুতে ১৮ কলাম সেনা রয়েছে। জম্মু চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ডাকা হরতালে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান-বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভে নামেন সাধারণ মানুষ। পাথরবাজিতে কয়েকজন পুলিশকর্মী সহ জখম হন ৯ জন। বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বনিক সংগঠনটি অশান্তির ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে, বলেছে, জম্মুতে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করেন। শান্তি, ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ নষ্ট করতে দেব না দুষ্কৃতীদের। পুলওয়ামার মৃত্যুর প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিলও হয়। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের এদিনের নির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। জম্মু জুড়ে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। সেনার হেলিকপ্টার, আকাশপথে চলা মানবহীন যানের মাধ্যমে পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে। সেনা মুখপাত্রটি জানান, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, প্রশাসন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রোঅ্যাক্টিভ অর্থাত্ সক্রিয় মানসিকতার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।