নয়াদিল্লি: অত্যন্ত গোপনে পরিকল্পনা করেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা বিষয়টির উপর নজর রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সহ আরও কয়েকজন এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশেষ সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে।


আরও জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তোলার প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে রাজ্যসভায় তিন তালাক ও তথ্যের অধিকার সংশোধন বিল পেশ করে সরকার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও সংসদের উচ্চকক্ষে এই দু’টি বিল পাশ করাতে পারায় উৎসাহিত হয়ে ওঠে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাব পেশ করার আগে ওয়াই এস আর কংগ্রেস প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি, বিজেডি সুপ্রিমো তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, টিআরএস প্রতিষ্ঠাতা তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। বসপা নেতা সতীশচন্দ্র মিশ্রর মাধ্যমে তাঁর নেত্রী মায়াবতীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। প্রহ্লাদ ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও ধর্মেন্দ্র প্রধান রাজ্যসভায় সরকারের পক্ষে সমর্থন আদায়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। টিডিপি থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া সি এম রমেশও রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব পাশ করাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

গোটা বিষয়টি এত গোপনে করা হয়, মাত্র তিন-চারজন মন্ত্রীই জানতেন কাশ্মীর নিয়ে বড় কোনও ঘোষণা হতে চলেছে। সরকারের পরিকল্পনা সফল করার জন্যই ওয়াই এস আর কংগ্রেস, বসপা, বিজেডি, টিআরএস সাংসদদের সঙ্গে কথা বলেন প্রহ্লাদ, ধর্মেন্দ্ররা। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলের খসড়া তৈরির বিষয়টি শুধু অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই দেখছিলেন। অন্য কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকারের গোটা পরিকল্পনা সফল হয়েছে।