মহাকাশ বিজ্ঞানে মাইলস্টোন হতে চলা এই পদক্ষেপের আগে আক্ষরিক অর্থেই বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। বিক্রমের চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং যেন সাফল্য পায় এই তাঁদের একমাত্র প্রার্থনা। তবে একই সঙ্গে আশা, তাঁদের মুখ ডোবাবে না বিক্রম। ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন বলেছেন, এই চন্দ্র মিশনকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য মানুষের পক্ষে যা যা সম্ভব সবই তাঁরা করেছেন।
২২ জুলাই ৯৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প এই চন্দ্রযান ২-কে নিয়ে চাঁদের দেশে রওনা দেয় ‘বাহুবলী’ রকেট জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল-মার্ক III। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি অংশ ২,৩৭৯ কেজির অরবিটার, ১,৪৭১ কেজির বিক্রম ল্যান্ডার ও ২৭ কেজির হালকাপলকা প্রজ্ঞান রোভার। এ মাসের ২ তারিখ বিক্রন সফলভাবে অরবিটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, পরের দুদিনে তা আরও এগিয়ে আসে চাঁদের কাছে।
২০০৮ সালে সফলভাবে চাঁদের কক্ষে চন্দ্রযান ১-কে পাঠিয়েছিল ভারত। তারপর ২০১৩-র মঙ্গলযান মিশন গোটা বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয় করে তোলে ভারতকে মহাকাশ সাফল্যকে।