জেনিভা: অ্যাস্ট্রাজেনেকোর তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও রক্ত জমাট বাঁধা, আবার কোথাও অ্যালার্জি, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বেশ কয়েকটি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হল, এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়ার কোনও কারণ নেই।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার করার ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। অন্যান্য ভ্যাকসিনগুলির মতোই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনও বেশ ভাল। আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার করা উচিত। তবে এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিয়ে কোনওরকম উদ্বেগ থাকলে সেটা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা উচিত।’


ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন নিরাপদ। এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই সংস্থার পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে কারও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়নি।


রক্ত জমে যাওয়ার অভিযোগ আসার পরেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ড। ইতালি ও অস্ট্রিয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তাইল্যান্ড ও বুলগেরিয়া জানিয়েছে, তারা এখনই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে না। অস্ট্রেলিয়ার মতো কয়েকটি দেশ অবশ্য জানিয়েছে, তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনই ব্যবহার করবে। কানাডার পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার করার ফলে কারও শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা জানা যায়নি। সেই কারণে এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার বন্ধ করা হচ্ছে না।


এরই মধ্যে ইউরোপে নতুন করে করোন সংক্রমণ বাড়ছে। ইতালিতে ফের বহু মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যুও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে স্কুল, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ফ্রান্সেও সংক্রমণ বাড়ছে। ২ এপ্রিল থেকে প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড খোলার কথা থাকলেও, সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হচ্ছে।