বেঙ্গালুরু: জোম্যাটোর ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে খাবার সরবরাহ করা নিয়ে বচসার সময় এক মহিলার নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মুখ খুললেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দর গোয়েল। তিনি সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা অভিযুক্ত ডেলিভারি বয় এবং অভিযোগকারী মহিলা-দু’জনকেই সবরকমভাবে সাহায্য করছেন। সত্য খুঁজে বের করাই তাঁদের লক্ষ্য।
বেঙ্গালুরুর মডেল ও মেক আপ আর্টিস্ট হিতেশা চন্দ্রাণীর অভিযোগ, দেরি করে খাবার দেওয়া নিয়ে বচসার জেরে তাঁকে মারধর করেন জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় কামরাজ। তিনি জোম্যাটোর কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে বলেছিলেন, হয় খাবারের দাম নেওয়া যাবে না অথবা অর্ডার বাতিল করতে হবে। কারণ, অর্ডার দেওয়ার এক ঘণ্টারও পরে খাবার এসেছে। এ নিয়ে বচসার জেরেই হিতেশাকে মারার অভিযোগ ওঠে ওই ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে। ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন হিতেশা। এরপর বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জোম্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, ‘গ্রাহকের মুখে ঘুঁষি মারার অভিযোগে ওই ডেলিভারি বয়কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমরা হিতেশার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমরা বহন করছি। তাঁকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি আমরা। একইসঙ্গে আমরা কামরাজের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছি। ওকেও সাহায্য করছি আমরা। আমরা চাই দু’পক্ষের বক্তব্যই সামনে আসুক এবং ন্যায়বিচার হোক।’
অভিযুক্ত কামরাজের পাশে দাঁড়িয়ে জোম্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেছেন, ‘কামরাজ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫,০০০ ডেলিভারি দিয়েছে। ওর রেটিং ৫-এর মধ্যে ৪.৭৫, যা অন্যতম সেরা। আমরা প্রথম থেকেই চাই সত্য ঘটনা সামনে আসুক। সেই কারণেই আমরা হিতেশা ও কামরাজকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি। তদন্ত চলছে। আমরা পুলিশকেও সবরকমভাবে সাহায্য করছি।’
একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিতেশার অভিযোগ অস্বীকার করে কামরাজ দাবি করেছেন, ‘আমি তাঁর হাতে খাবার তুলে দিই। দাম নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। খারাপ রাস্তা এবং যানজটের জন্য দেরি হওয়ায় আমি ক্ষমাও চেয়ে নিই। কিন্তু তিনি খাবারের দাম দিতে অস্বীকার করেন। এরপর আমাকে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই মহিলার অনুরোধে অর্ডার বাতিল করা হয়েছে। সে কথা শুনে আমি খাবার ফেরত চাই। কিন্তু তিনি খাবার ফেরত দিতে চাননি। এরপর আমি খাবার না নিয়েই ফিরে আসছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন এবং মারতে থাকেন। তিনি আমার হাত সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁর আঙুলে থাকা আংটি নাকে লেগে রক্ত পড়তে শুরু করে। যে কেউ তাঁর মুখ দেখলেই বুঝতে পারবেন, ঘুঁষি মারার জন্য এরকম অবস্থা হয়নি। তাছাড়া আমি আংটি পরি না।’