নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের হোস্টেলে আত্মহত্যা ১৮ বছরের অ্যাথলিট পালেন্দর চৌধুরীর। এই ঘটনায় স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই তরুণ অ্যাথলিট। হোস্টেল রুমে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
সাই-এর ডিরেক্টর জেনারেল নীলম কপূর বলেছেন, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাই-এর সচিব স্বর্ণ সিংহ চাবরার নেতৃত্বে এই তদন্ত হবে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এই অ্যাথলিটকে উদ্ধার করে সফদরজঙ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর ব্রেন ডেথ হয়ে যায়। সেজন্য তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সাই-এর এক পদস্থ আধিকারিক বলেছেন, আর্থিক বিষয়ে বাবার সঙ্গে বচসার পরই ওই অ্যাথলিট এই চরম পদক্ষেপ নেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের সময় পারভিন্দরের মধ্যে কোনওরকম অবসাদের লক্ষ্মণ দেখতে পাননি তাঁর সহ খেলোয়াড়রা। এ কারণে তাঁর আত্মহত্যার ঘটনায় স্তম্ভিত সতীর্থরা।
কপূর বলেছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত পারিবারিক ইস্যু। সকালে ফোনে বাবার সঙ্গে বচসা হয় পালেন্দরের। এরপর সন্ধেয় তাঁর দিদি পালেন্দরের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। দিদিকে তিনি প্রথমে আত্মহত্যার হুমকি দেন এবং তাঁর সামনেই চরম পদক্ষেপ নেন। পালেন্দরের দিদি চিত্কার চেঁচামেচি শুরু করলে সবাই ছুটে এসে পারভিন্দরকে নামিয়ে আনেন।
পারভিন্দর স্টেডিয়ামের হোস্টেলে ছিলেন ২০১৬ থেকে এবং তিনি ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। গতকাল সন্ধে সাড়ে পাঁচটার সময় হোস্টেল রুমে ফিরে আসার আধঘন্টার মধ্যে ওই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
২০১৭-তে পারভিন্দর ব্যাঙ্ককে এশিয়ান ইউথ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য নির্বাচিত হন এবং রিলে-তে সোনা জেতেন। গত জুলাইতে ওয়ার্ল্ড ইউথ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন।