২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্নাটকে এক সভায় রাহুল বলেছিলেন, নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদি- কী করে ওদের সবার পদবী একটাই! সব অপরাধীর পদবী কী করে শুধু মোদিই হয়! বিজেপি বিধায়কের দাবি, এহেন মন্তব্যে গোটা মোদি সম্প্রদায়কেই অপমান করেছেন রাহুল। এই অভিযোগে ফৌজদারি অবমাননা সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় মামলা রুজু হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
আজ শুনানির সময় রাহুলের আইনজীবী কিরিট রানওয়ালা আবেদন পেশ করেন, তাঁর মক্কেলকে আদালতে হাজিরা থেকে পাকাপাকি অব্যাহতি দেওয়া হোক। যদিও অভিযোগকারীর আইনজীবী হাসমুখ লালওয়ালা এর বিরোধিতা করেন। আদালত ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছে। সেদিন রাহুলকে হাজিরা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।
আদালতে হাজিরার পর রাহুল ট্যুইট করেন, আজ সুরাতে রয়েছি আমার মুখ বন্ধ করাতে মরিয়া রাজনৈতিক বিরোধীদের দায়ের করা মানহানি মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য। আমার পাশে থাকার বার্তা দিতে এখানে সমবেত হওয়া কংগ্রেস কর্মীদের সমর্থন, ভালবাসার জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
আজ রাহুলের কনভয় আদালতের দিকে এগনোর সময় রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে পুষ্পবৃষ্টি করেন কংগ্রেস কর্মীরা। আদালত চত্বরেও ভিড় করেন তাঁরা। আদালতে শুনানি প্রক্রিয়া শেষ করে বিমানবন্দর রওনা হন রাহুল। জুলাইয়ে আগের শুনানির দিন তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে আদালতে উপস্থিত হতে হয়নি।
রাহুলের বিরুদ্ধে মোট কয়টি মামলা ঝুলছে?
রাহুলের নামে তিনটি মানহানির মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যে মামলার শুনানি হল, সেটি বাদে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘খুনে অভিযুক্ত’ বলায় এবং এই দাবি করায় যে, যে আমদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর পদে আছেন অমিত শাহ, সেটি বিমুদ্রাকরণের সময় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ছিল।