কলকাতা: কলেজে বদলি-বিতর্কের জের। অবসরের ২২ বছর আগেই চাকরিতে ইস্তফা বৈশাখীর। পদত্যাগপত্র পাঠালেন রাজভবন-মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীকে। ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ।


কয়েকদিন আগেই বৈশাখীকে মিল্লি আল আমিন থেকে রামমোহন কলেজে বদলি করা হয়। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, ‘বদলি মানছি না। এটা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।’

বদলির নির্দেশিকা নিয়ে সরব বৈশাখী। প্রসঙ্গত, হেনস্থার অভিযোগে শুক্রবার রাজভবনে নালিশ করেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানান শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী। বৈশাখীর সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখীকে  হেনস্থার অভিযোগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর শোভন বলেন,  ‘আল আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীকে উপড়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কলেজ কারও অ্যাজেন্ডা পূরণের জায়গা নয়। সরকারের আত্মসমালোচনা করা উচিত। রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে গোটা বিষয়টি শুনেছেন।’

রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে একাধিক অভিযোগ করেন শোভন-বৈশাখী। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, ‘আল আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীকে উপড়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কলেজ কারও অ্যাজেন্ডা পূরণের জায়গা নয়। সরকারের আত্মসমালোচনা করা উচিত। রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে গোটাটা শুনেছেন।’

বৈশাখী সাংবাদিকদের বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলেজের সামনে আন্দোলন করা হচ্ছে। আমি তো পদ ছেড়ে দিয়েছি, পোস্টারে কেন আমার নাম? পড়ুয়াদের কেন বিপথগামী করা হচ্ছে, তদন্ত হোক। ফিরহাদ হাকিমের কী অধিকার আছে? ফিরহাদ হাকিম আমাকে চাকরি দেননি।’

কিন্তু এই বিতর্কের মধ্যেই এবার ইস্তফা দিলেন বৈশাখী।