নাগপুর: গোঁফ নিয়ে গোলমাল! খদ্দেরের দাবি, তাঁকে জিজ্ঞাসা না করেই গোঁফ ফেলে দিয়েছেন ক্ষৌরকার। আর তার এই অভিযোগ ঘিরেই তুলকালাম মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কানহান এলাকায়। ঝগড়াঝাঁটি, পুলিশে অভিযোগ-কিছুই বাদ গেল না। শেষপর্যন্ত এলাকার ক্ষৌরকারদের সংগঠন কিরণ ঠাকুর নামে স্থানীয় ওই ক্রেতাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠন ঠিক করেছে, তাঁরা কেউই ৩৫ বছরের কিরণকে কোনওরকম পরিষেবা দেবেন না।
নাগপুর পুলিশকে কিরণ বলেছেন, কানহান এলাকায় একটি সেলুনে তিনি চুল-দাড়ি কাটতে গিয়েছিলেন। আর ক্ষৌরকার সুনীল লক্সানে তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা না করেই তাঁর গোঁফ ছেঁটে দিয়েছেন। বাড়িতে ফিরেই গোঁফ দেখতে না পেয়ে ক্ষুব্ধ কিরণ লক্সানেকে ফোন করেন। পুলিশকে কিরণের অভিযোগ, ওই ক্ষৌরকার তাঁকে হুমকি দেন। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৭ (হুমকি) ধারায় ওই ক্ষৌরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েক করেছেন তিনি। এই অভিযোগ অবশ্য ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ নয়।
আর এর জেরেই নভিক একতা মঞ্চ কিরণকে কোনওরকম পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি শারদ ওয়াটকার বলেছেন, লক্সানের বিরুদ্ধে কিরণ যে অভিযোগ এনেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যে। খদ্দেরকে জিগ্যেস করেই লক্সানে গোঁফ কেটেছিলেন।
কিরণ বাড়িতে চলে যান এবং সন্ধেবেলা দোকানে এসে ঝামেলা শুরু করেন বলে ওয়াটকর দাবি করেছেন। ওই খদ্দেরের বিরুদ্ধে তাঁরাও পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওয়াটকার বলেছেন, তালুক পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁরা কিরণকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভও প্রদর্শন করা হয়।