সাব-ইন্সপেক্টর শিবরাজকুমার অঙ্গদি জানিয়েছেন, রুটিন তল্লাশির সময় দেখা যায়, অরুণ কুমার নামে এক ব্যক্তি ৭৭ বার ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করেছেন। ২ মিটার লম্বা চালান বের করে তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমার সেকেন্ড-হ্যান্ড স্কুটারের দাম ৩০ হাজার টাকাও না। তাই জরিমানা দেওয়ার চেয়ে স্কুটার ফেলে রেখে চলে যাওয়াই ভাল।’ এরপরেই তিনি স্কুটারটি ফেলে রেখে চলে যান।
বেঙ্গালুরু ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, বহু মানুষই অসংখ্যবার পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ বছরের অগাস্টে দেখা যায়, একটি রয়্যাল এনফিল্ডের মালিক ১১ মাসে ১০১ বার ট্র্যাফিক আইনভঙ্গ করেছেন। এল রাজেশ কুমার নামে ওই ব্যক্তির ৫৭,২০০ টাকা জরিমানা হয়।
গত বছর নতুন মোটরযান আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে জরিমানার অঙ্ক অনেক বেড়ে গিয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে দিল্লিতে এক তরুণ জরিমানার টাকা দেওয়ার বদলে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও দিল্লিতে একই ঘটনা ঘটেছিল। মদ খেয়ে মোটরসাইকেল চালানো, হেলমেট না পরা এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সঙ্গে না রাখার জন্য এক ব্যক্তির ১১ হাজার টাকা জরিমানা হয়। তিনি জরিমানা দেওয়ার বদলে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন। গুজরাতে আবার ট্র্যাফিক পুলিশ ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক অটোচালক।