ভিলওয়াড়া: সন্তানকে দেখাশোনা নয়, দেশ ও সমাজের প্রতি কর্তব্যই রাজস্থানের এই দম্পতির কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী কম্পাউন্ডার এবং স্ত্রী পুলিশ কনস্টেবল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের কারও বাড়িতে থাকার উপায় নেই। সেই কারণে তাঁরা রোজ সাত বছরের মেয়েকে বাড়িতে তালাবন্দি করে রেখে চলে যাচ্ছেন। আট ঘণ্টারও বেশি সময় বাড়িতে একা থাকতে বাধ্য হচ্ছে ছোট্ট মেয়েটি।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য সারা দেশের সামনে আদর্শ হয়ে উঠেছে ভিলওয়াড়া। সেখানেই বাড়ি এই দম্পতির। ছোট্ট দীক্ষিতার বাবা একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত। তিনি ১৫ দিন ধরে বাড়িতে আসেননি। দীক্ষিতার মা সরোজ কুমারকে কর্তব্য পালন করার জন্য যেতেই হচ্ছে। বাড়িতে আর কেউ না থাকায় তিনি রোজ তালা দিয়ে বাইরে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সরোজ জানিয়েছেন, ‘আট ঘণ্টার জন্য আমার সাত বছরের মেয়ে দীক্ষিতাকে বাড়িতে রেখে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু দেশ সবার আগে। আমার স্বামী মহাত্মা গাঁধী হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে কর্তব্যরত। সংক্রমণের আশঙ্কায় তিনি গত ১৫ দিন ধরে বাড়িতে আসেননি। এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে বাড়িতে রেখে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। রাজস্থান পুলিশের একজন কর্মী হিসেবে দেশের প্রতি আমার কর্তব্য পালন করছি। এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। আমি সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলছি।’

মা-বাবার এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছে ছোট্ট মেয়েটিও। সে জানিয়েছে, ‘আমার মা রোজ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তিনি আমাকে বাড়িতে তালাবন্ধ করে রেখে চলে যাচ্ছেন। আমার বাড়িতে একা থাকতে ভয় লাগে না। আমি বাড়িতে বসে পড়ি, টিভি দেখি।’