নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণের পরে প্রথম ১০০ দিনকে দেশের ‘উন্নয়ন’, ‘বিশ্বাস’ আর ‘বড় পরিবর্তন’-এর সময়কাল হিসাবে চিহ্নিত করলেন নরেন্দ্র মোদি।

হরিয়ানার রোহতকে একটি নির্বাচনী প্রচারসভায় রবিবার বক্তব্য রাখেন মোদি। তিনি বলেন, ‘গত ১০০ দিনে যত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার পিছনে ১৩০ কোটি ভারতীয়র অনুপ্রেরণা রয়েছে।’ ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পরে নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের শেষে প্রতিটি মন্ত্রক তাদের প্রাপ্তির কথা জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গতবারও এরকম করা হয়েছিল।

রবিবার মোদি জানান সংসদের প্রথম অধিবেশনে কী কী কাজ হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৬০ বছরে কোনও সরকার সংসদের কোনও অধিবেশনে এতগুলি বিল পাস করতে পারেনি বা এত পরিমাণে কাজ করতে পারেনি। এর মধ্যে প্রধান বিলগুলি হল তিন তালাক বিল, তথ্যপ্রযুক্তির সংশোধন এবং যানবাহন আইনের সংশোধন।

অগাস্টে জম্মু‌ ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা রদ করে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সেই সংক্রান্ত বিলও সংসদে পেশ করা হলে তা পাস হয়ে যায়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এদিন বলেন, ‘মোদি ২.০ তাঁর প্রথম ১০০ দিনে দ্রুততার সঙ্গে ঐতিহাসিক ও দৃষ্টান্তস্থাপনকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্য সরকারকে একটা রোডম্যাপ দিয়েছে। দরিদ্র ও কৃষকদের ক্ষমতাবান করে তোলাই মূল পরিকল্পনা।’

সোম ও মঙ্গলবার ১৭ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের মন্ত্রকের রিপোর্ট কার্ড পেশ করবেন ব‌লে মনে করা হচ্ছে। মোদির জনসভা থেকেই হরিয়ানার নির্বাচনে বিজেপি একাই ৭৫ আসন পাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। ৯০ আসনবিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভা বর্তমানে বিজেপির দখলে। ৪৮জন বিধায়ক বিজেপির। সেই সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে দাবি খট্টরের।