পটনা: বিহার ভোটের ট্রেন্ডে প্রতি মুহূর্তে ওঠানামা। সেই সময় দিল্লিতে বিজেপির পার্টি অফিসের বাইরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস! আর ২১ আকবর রোড থমথমে!  করোনা আবহে বিহার বিধানসভা নির্বাচন ছাড়াও দেশের প্রায় হাফ ডজন রাজ্যে ৫০টিরও বেশি উপনির্বাচনে লড়েছে কংগ্রেস আর সহযোগী দলগুলি।
এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা  কিংবা তেলঙ্গানা, আসন কিংবা ভোট শতাংশের বিচারে কোনও রাজ্যেই আশানুরূপ ফল ভাল করতে পারেনি কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনেও এই সমস্ত রাজ্যে কংগ্রেসের ফল হয়েছিল শোচনীয়।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ১টি, উত্তরপ্রদেশে ১টি করে আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এমনকি ২০১৮-তে ৩ রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরার পরও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে, রাজস্থানে ১টিও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে মাত্র ১টি আসনে জয় এসেছিল। ছত্তীসগঢ়ের ১১টির মধ্যে ২টি লোকসভা আসন গিয়েছিল কংগ্রেসের ঝুলিতে।
অনেকেই বলছেন, বিহার থেকে মধ্যপ্রদেশ - বিধানসভা নির্বাচন থেকে বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বলছে, মানুষের মন জয় করতে ফের ব্যর্থ কংগ্রেস। করোনা আবহে ভোট প্রচারে বিজেপির কট্টর জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। পরিযায়ী শ্রমিক, বেকারত্ব, নতুন কৃষি আইন, এই সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যুকেই তুলে ধরেছিল কংগ্রেস আর তার সহযোগী দলগুলি। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এসব ইস্যু মানুষের মনে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি।


কংগ্রেসের অনেকে আবার ইভিএমে কারচুপির গন্ধ পাচ্ছেন! কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভির দাবি, ইভিএম-এ ভোটে বিজেপি সুবিধা পায়, ব্যালট ফেরানো উচিত। বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, জিতলে ইভিএম ঠিক, আর হারলেই কংগ্রেস ইভিএমে কারচুপি দেখে! তাদের বক্তব্য, ২০১৪ থেকে এখনও অবধি মোদির মুখেই আস্থা রেখেছে মানুষ।

বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, দেশজুড়ে মোদি ম্যাজিক চলছে, বিহারে ভাল ফল, একাধিক উপনির্বাচনেও দারুণ ফল হবে।

খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে দল। গত লোকসভা ভোটের দায় নিয়ে রাহুল গাঁধী  সরে দাঁড়ানোর পর অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সেই সনিয়া গাঁধী। দলের কাঠামো না বদলালে মোদি-জমানার বিজেপিকে পাল্লা দেওয়া তো দূর, ভবিষ্যতে আরও ধাক্কা অপেক্ষা করে আছে কংগ্রেসের জন্য। এ ব্যাপারে অন্তত একমত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।