মুজফফরপুর: এক মহিলা যৌন হেনস্থায় বাধা দেওয়ায় কোল থেকে তিন মাসের সন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে আগুনে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বিহারের মুজফফরপুরে। শিশুকন্যাটির পায়ের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গিয়েছে। মুজফফরপুর সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে মুজফফরপুরের বোচাহা থানা এলাকায়। ওই মহিলা বাড়ির বাইরে আগুন জ্বালিয়ে সেখানে সন্তানকে কোলে নিয়ে বসেছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই মহিলার পিছনে বসে তাঁকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করছিল। ওই মহিলা বাধা দেন। এরপরেই তাঁর কোল থেকে সন্তানকে কেড়ে নিয়ে আগুনে ছুঁড়ে ফেলে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি।

ডেপুটি পুলিশ সুপার (সদর) বৈদ্যনাথ সিংহ জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ৩৫৪ ধারায় মহিলার সম্মানহানি, ৩২৩ ধারায় আঘাত করা এবং ৩৪১ ধারায় জোর করে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’

ওই মহিলার স্বামী অভিযোগ, তিনি যখন প্রথমে থানায় অভিযোগ জানাতে যান, তখন এফআইআর দায়ের করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর তিনি সিনিয়র পুলিশ সুপার জয়ন্ত কান্তের দ্বারস্থ হন। এরপর তদন্ত শুরু হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবিও জানিয়েছেন ওই মহিলার স্বামী।

কিছুদিন আগেই বিহারের মধুবনীতে এক মূক ও বধির কিশোরীর উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ। গণধর্ষণের পর ১৫ বছরের মেয়েটি যাতে অপরাধীদের চিনতে না পারে, সেজন্য ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

অন্যদিকে, বিহারেরই মুজফফরপুরে অন্য একটি নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মেয়েটির উপর অত্যাচার চালানোর পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় চার অভিযুক্ত। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মেয়েটির মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে এক নাবালিকাকে আখের খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এর ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গর্ভাবস্থাজনিত অসুস্থতার ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ধর্ষণের পর মেয়েটিকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দেয় ওই দুষ্কৃতী। পুলিশকে এই ঘটনার বিষয়ে জানানোর পর মামলা দায়ের করা হয়। গর্ভপাতের আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজি হননি চিকিৎসকরা।