নয়াদিল্লি: শেষ পর্যন্ত ধর্ষণে অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সিংহকে বহিষ্কার করল বিজেপি। নানা মহলের প্রশ্নের মুখে দিনকয়েক আগে বিজেপি জানায়, ১৯ বছরের তরুণী ধর্ষণে অভিযু্ক্ত উন্নাওয়ের দলীয় বিধায়ককে তারা আগেই সাসপেন্ড করেছে। গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের রায় বেরিলিতে নির্যাতিতা ও তার আইনজীবী এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়, তার দুই আত্মীয়া নিহত হন। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি ধর্ষিতাকে মেরে ফেলার জন্যই চক্রান্ত করে ঘটানো হয়েছে বলে প্রশ্ন ওঠে। মেয়েটির পরিবার তেমনই দাবি করে। এর পিছনেও চারবারের বিধায়ক কুলদীপের হাত রয়েছে, এই সন্দেহের মধ্যেই তাঁকে বহিষ্কারের পদক্ষেপ ঘোষণা করল বিজেপি। কুলদীপকে বুধবারই গাড়ি দু্র্ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত করেছে সিবিআই।
কেন কুলদীপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে সংসদে ক্ষোভ জানায় কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি (সপা) ও বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা)। লোকসভায় তুলকালাম হয়।
কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও দফায় দফায় ট্যুইট করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। লেখেন, কেন কুলদীপ সেনগারের মতো লোককে সুরক্ষা, রাজনৈতিক ক্ষমতার রক্ষাকবচ, শক্তি দেব, তাদের হাতে নির্যাতনে ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েদের একলা লড়াই চালানোর দিকে ঠেলে দেব, পরিত্যাগ করব?




এদিন ট্যুইট করে তিনি কটাক্ষ করেন, অবশেষে বিজেপি মেনে নিল, তারা একটা অপরাধীর হাতে ক্ষমতা দিয়েছে, নিজেদের দোষ সংশোধন করতে কিছু ব্যবস্থা নিল। এক যুবতীকে ন্যয়বিচার দেওয়ার লক্ষ্যে এগল, যার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি প্রিয়ঙ্কা ‘উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ-এর অস্তিত্ব মেনে নেওয়ায় সু্প্রিম কোর্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা’ও প্রকাশ করেন।