অন্যদিকে বন্ধের বিরোধিতায় সকাল-সকালই পথে নেমেছে তৃণমূল। বাগনান স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, লক্ষ্মীপুজোর মুখে এই বন্ধ বহু মানুষের ব্যবসায়িক ক্ষতি ডেকে আনবে। তাছাড়া অসুবিধের শিকার হবে সাধারণ মানুষ। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, এই ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই। যদিও অষ্টমীর রাতে বিজেপি নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকেই।
অষ্টমীর রাতে বাগনানের চন্দনাপাড়া গ্রামে কিংকর মাজি নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মাজির বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় প্রথমে কিংকরকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রেফার করা হয় এনআরএস-এ। সেখানেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ বাহিনী এবং RAF। এরপরই অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা।
পুলিশের দাবি, করোনা আক্রান্ত ছিলেন বিজেপি নেতা। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও মৃতের পরিবার পুলিশের দাবি মানতে নারাজ। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পলাতক।