দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে, সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন, রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা বিনোদ সোনকার। অমিত শাহের বেঁধে দেওয়া টার্গেট পূরণে আত্মবিশ্বাসী সোনকর। পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের।

পাখির চোখ, একুশের নির্বাচন। লক্ষ্য বাংলার মসনদ। দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করে, দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে। রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির উত্তরপ্রদেশের সাংসদ বিনোদ সোনকার। দায়িত্ব ভাগ হতেই শুরু হয়ে গেছে কাজ।

বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে একটি হোটেলে সাতটি সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন বিনোদ সোনকার। হাজির ছিলেন বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, কাটোয়া, বর্ধমান, আসানসোল, পুরুলিয়া ও বীরভূমের সাংগঠনিক জেলার নেতারা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

বিজেপি সূত্রে খবর, দলের কোথায় দুর্বলতা, কোথায় সংগঠন শক্তিশালী, তা নেতাদের কাছে জানতে চান সোনকার। ২১-এর নির্বাচনে বঙ্গ বিধানসভার ২৯৪ আসনের মধ্যে, ২০০ আসন দখলের টার্গেট বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। টার্গেট পুরণে আত্মবিশ্বাসী সোনকার। তিনি বলেছেন, ‘২০০ সিট পাবো। বৈঠক করে বুঝেছি। অমিত শাহের টার্গেট সফল হবে।’

বিজেপির ভোট প্রস্তুতি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলছেন, ‘বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে, না পারলে কান ধরে ওঠবোস করাচ্ছে।’ যদিও বিনোদ সোনকার পাল্টা বলেছেন, ‘এগুলো তৃণমূলের সংস্কৃতি। আমাদের নয়। আমাদের দলে কেউ এই আচরণ করে না।’

বুধবার পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে পোস্তার ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করতে গিয়ে একটি তাৎ‍পর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘এখানে একটি জমি নিয়ে আপনাদের সমস্যা আছে। ভোটের আগে বাইরের কেউ কেউ ভয় দেখাচ্ছে। ভয় পাবেন না! রাজ্য সরকার আইনি পথেই আপনাদের পাশে থাকবে।... আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। বাইরে থেকে গুন্ডা এনে জুলুম করলে পুলিশ দেখবে। সরকার আপনাদের পাশে আছে।এই সমস্যার পিছনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ আছে।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, আসন্ন বিধানসভা ভোট উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বিজেপি নেতাদের বাংলায় তৎপরতাকেই নাম না করে তাকেই নিশানা করেন মমতা।

যার পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। সোনকার বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছে বহিরাগত। আমরা এদেশেরই লোক। বাংলাদেশিদের নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী টিকে থাকতে চাইছেন।’ সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোট ঘিরে এখন থেকেই রাজনৈতিক পারদ চড়ছে।