রায়না: পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় এক বছর আগে পুলিশের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের মামলায় জামিন পেলেন দিলীপ ঘোষ। সামাজিক পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক দুরাবস্থার কথা মানুষকে জানানোর প্রয়োজন আছে, জামিনের পর বক্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির। দিলীপকে আক্রমণ করে তৃণমূলের বক্তব্য, আইন আইনের পথে চলবে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘টাকা না দিলে, তাঁবেদারি না করলে পুলিশের চাকরি মেলে না। প্রোমোশন হয় না। তাই পুলিশ সুপার থেকে ওসি, সবাইকে টাকা তুলতে হয়।’ দিলীপের এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল।

পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সভায় তৃণমূল-পুলিশ আঁতাঁত নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। ২০১৯-এর ৪ নভেম্বর, রায়নার বাসিন্দা প্রভাত নায়েক তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ১৪ নভেম্বর বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয় বর্ধমানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই মামলাতেই স্বস্তি পেলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার জামিন মঞ্জুর হল তাঁর।

এদিন বেলা দুটো নাগাদ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি। দিলীপ ঘোষের আইনজীবী কমল দত্ত বলেছেন, ‘সেই অর্থে কেউ জামিনের বিরোধিতা করেননি। আজ আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জামিন মঞ্জুর করেন।’

জামিন পাওয়ার পরে ফের একবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রায়না জনসভা থেকে যা বলেছিলাম আজকের পরিস্থিতি তার থেকেও খারাপ। সামাজিক পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক দুরাবস্থার কথা মানুষকে জানানোর প্রয়োজন আছে। এই সরকার থাকলে তা পরিবর্তন হবে না।’

তৃণমূল কংগ্রেসও পাল্টা আক্রমণ করেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল মুখপাত্র ও সহ-সভাপতি দেবু টুটু বলেছেন, ‘বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করার চেষ্টা। আইন আইনের পথে চলবে।’

মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ ডিসেম্বর। সেদিনও দিলীপ ঘোষকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।