মুম্বই: কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী দল ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দেওয়ার পর বিজেপির কটাক্ষ। মথুরায় সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় সাসপেন্ড দলের কয়েকজনের ফের কংগ্রেসে পুনর্বাসনের নিন্দায় দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। ১৫ এপ্রিল ওই কর্মীদের ফিরিয়ে নেয় কংগ্রেস। মুম্বইয়ে বিজেপি মুখপাত্র মাধব ভান্ডারি বলেছেন, নিজের দলের কর্মীদের হাতে অপমানিত হয়ে কংগ্রেস ছাড়তে হল প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। তাঁকে সুরক্ষা না দিয়ে দল সেই কর্মীদের পাশে দাঁড়াল। কংগ্রেসের এমন চেহারা দেখে দেশের মহিলাদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রিয়ঙ্কাই শুধু নন, কংগ্রেসের অন্য মহিলা নেতারাও আর দলে নিরাপদ বোধ করবেন না বলে অভিমত জানান তিনি। অম্বানিরা বিজেপিকে সমর্থন করে, লাগাতার এই দাবি করায়ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন ভান্ডারি। শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি মুম্বই উত্তর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মিলিন্দ দেওরাকে সমর্থন করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, কংগ্রেসের অম্বানিদের সঙ্গে কী সম্পর্ক, বুঝি না। ওরা দাবি করে, বিজেপি বানিয়া, শিল্পপতিদের পার্টি। এখন সত্যিটা বেরল।
আজ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সামনে ওই দলে যোগ দেন প্রিয়ঙ্কা। বান্দ্রায় উদ্ধবের বাসভবন মাতুশ্রী-তে সাংবাদিকের তিনি লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে দল ছাড়ার জল্পনা খারিজ করেন। বলেন, রাজনৈতিক দলগুলি তো ভোটে লড়েই। তবে শুধু ভোটে লড়া, জেতাই জীবন নয়। একটা আদর্শকে গ্রহণ করে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলা উচিত কর্মীদের।
কংগ্রেসের নাম না করে তিন বলেন, যে দলকে তিনি ১০টা বছর দিয়েছেন, সেখানে তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়েও মহিলাদের হয়ে কথা বলতে পারবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু দলের কিছু লোক আমাকে নিয়ে কটূ কথা বলার পর কষ্ট পেয়েছিলাম। সাসপেন্ড হয়েও তারা আবার দলে জায়গা পেল। এতে খুব হতাশ হই। মনে হয়, আত্মমর্যাদার জন্য যদি লড়াই না করি, তবে মহিলারাই হতাশ বোধ করবেন, দমে যাবেন। অনেক ভাবনাচিন্তার পরই শিবসেনায় যোগ দিয়েছি, মহিলাদের স্বার্থে আমার ভূমিকা, দায়িত্ব বুঝে নিয়েছি।