২০১৬-র ডিসেম্বরে দলের ক্যারিশ্মাটিক নেত্রী জে জয়ললিতার মৃত্যুর পর এই প্রথম কোনও বড়সড় নির্বাচনী অগ্নিপরীক্ষা দিতে চলেছে এআইএডিএমকে। তাঁদের জোট প্রয়াত নেত্রী জয়ললিতার প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির ৪০ টি লোকসভা আসনেই জিতবে বলে আস্থাপ্রকাশ করেছেন গয়াল।
দুই দলের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনার পর জোট চূড়ান্ত হয়। ওই আলোচনায় সামিল হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালনস্বামীও।
গয়াল বলেছেন, এআইএডিএমকে ও বিজেপির মধ্যে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুটি দল তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে লোকসভা নির্বাচন এবং ২১ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বিষয়ে রাজি হয়েছে।
তামিলনাড়ুতে জোটের নেতৃত্বে থাকবে এআইএডিএমকে এবং জাতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীনে এনডিএ জোট পরিচালিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন পনীরসেলভাম। রাজ্যের বিধানসভা আসনগুলির উপনির্বাচনে এআইএডিএমকে-কে বিজেপি সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে এআইএডিএমকে-র সঙ্গে পিএমকে-র জোট চূড়ান্ত হয়। তামিলনাড়ুর সাতটি আসনে লড়াই করবে পিএমকে।
এআইএডিএমকে কতগুলি আসনে লড়াই করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, বিজয়কান্তের নেতৃত্বাধীন ডিএমডিকে-ও জোটে সামিল হতে পারে।
২০১৪-র নির্বাচনে জয়ললিতার নেতৃত্বাধীন এআইএডিএমকে তামিলনাড়ুতে ৩৯ আসনের মধ্যে ৩৭ টিতে জয়ী হয়েছিল। অন্যদিকে, সাতটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল বিজেপি। এই জোট দুটি আসন পেয়েছিল। বিজেপির পোন রাধাকৃষ্ণণ কন্যাকুমারী আসনে জয়ী হয়েছিলেন। অন্যদিকে পিএমকে নেতা অন্বুমানি রামদাস ধরমপুরী আসনে জিতেছিলেন।