আগরতলা: ত্রিপুরায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। যদিও বিরোধী দলগুলি তাদের প্রার্থীদের হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ এনেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি।
আগামী ২৭ জুলাই ত্রিপুরাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ করা হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব প্রসেনজিত্ ভট্টাচার্য বলেছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদগুলির ৬,৬৪৬ আসনের মধ্যে বিজেপি ৫,৬৫২ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে। এরফলে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৮৫০, পঞ্চায়েত সমিতির ৩৫ এবং জেলা পরিষদের ৮০ টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ করা হবে।
ত্রিপুরায় ৫৯১ গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে ৬,১১১ আসন, ৩৫ পঞ্চায়েত সমিতিতে রয়েছে ৪১৯ আসন এবং আটটি জেলা পরিষদে রয়েছে ১১৬ আসন।


১১ জুলাই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট গণনা হবে ৩১ জুলাই।
নির্বাচনের দিন প্রায় ১২,০৩,০৭০ ভোটার মতাধিকার প্রয়োগ করবেন। সকাল সাতটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।
দুই বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে, ‘বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা’ তাদের প্রার্থীদের ‘হুমকি দিয়েছে এবং মারধর করেছে’। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের ‘সশস্ত্র বাহিনী’ তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তুলতে এবং জমা দিতে বাধা দিয়েছে।
সিপিএমের দাবি, তাদের প্রায় ১২১ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ১১ জুলাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থীরা যাতে মনোনয়নপত্র তুলতে বা জমা দিতে না পারে সেজন্য বাইক-আরোহী বিজেপি কর্মীদের নির্বাচন অফিসগুলির সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল। অথচ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করেছিল বলেও সিপিএমের অভিযোগ।
রাজ্য কংগ্রেসের সহ সভাপতি তাপস দে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিনত করার অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁদের দলের অনেক প্রার্থীতে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। কংগ্রেস সহ সভাপতির দাবি, বিজেপির সন্ত্রাসের কারণে তাঁদের ১২৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। দলের মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, দুই বিরোধী দলেরই জনসমর্থনের ভিত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বুঝেই তারা মনোনয়ন জমা দেয়নি।