আগরতলা: ত্রিপুরা সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘ত্রিপুরায় অতিথি দেব ভবঃ-র নামে যে ঘটনা ঘটেছে, সবাই দেখেছে। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করতে চেয়েছিলাম। মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাতে না পৌঁছতে পারি, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে বিজেপি। লাঠি, বাঁশ, রড দিয়ে মারা হয়েছে। আমার সঙ্গে থাকা ৩ নিরাপত্তারক্ষী গুরুতর আহত হয়েছে। আমাকে আটকাতে ১০০ মিটার ছাড়া ছাড়া রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে।ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে না পৌঁছতে পারি, সবরকম চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের যত তাতাবে, তত শক্তিশালী হবে তৃণমূল। ত্রিপুরার মানুষকে স্বাধীন করতে দৃঢ়ভাবে এগোবে তৃণমূল। মানুষ হাত নেড়ে, দোকান থেকে এসে আশীর্বাদ করেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্য রাজ্যে পা রেখেছি। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের নিদারুণ উদাহরণ সবাই দেখতে পেয়েছে। একজন সাংসদের ওপর এ ধরনের আক্রমণ বিজেপির গুণ্ডারা করেছে। তাহলে সাধারণ মানুষ, ত্রিপুরায় নারী নিরাপত্তা কোথায় ?’
অভিষেকের অভিযোগ, ‘ত্রিপুরার পুলিশ নিষ্ক্রিয়। পুলিশকে সরকারের নির্দেশ পালন করতে হয়, পুলিশকে দোষারোপ করব না। লড়াই আজ থেকে শুরু হল। আজকের তারিখ লিখে রাখুন, ত্রিপুরায় দেড় বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। জহ্লাদদের উল্লাসমঞ্চে পরিণত করেছে বিজেপি। বিপ্লব দেব ও বিজেপির ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক। আমার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এদিন অভিষেকের সফর ঘিরে উত্তপ্ত ত্রিপুরা। চলন্ত গাড়িতে যথেচ্ছ লাঠির বাড়ি। নিজেই ভিডিও ট্যুইট করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কাছে অভিষেককে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা খেলা হবে স্লোগান তোলে তৃণমূল। এরইমধ্যে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুষ্পাঞ্জলিও দেন তিনি।
টিম পিকে-র ২৩ জন সদস্যকে হোটেলবন্দি করা ও কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে মামলা রুজু করায় ত্রিপুরায় তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর চলছিলই।এরই মধ্যে সোমবার বিশ্রামগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে বিজেপি কর্মীদের হামলার অভিযোগে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরার রাজনীতি।